বিচার হয়নি ভবন মালিকদের, একজন ছাড়া অন্যরা জামিনে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ এপ্রিল ২০২১, ৯:৪২:৫৫ অপরাহ্ন
আনলাইন ডেস্ক : বিশ্বের শিল্প দুর্ঘটনার ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত সাভারের রানা প্লাজা ধসের আট বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। ২০১৩ সালের এই দিনে সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিকভর্তি আট তলা ভবন ধসে নিহত হন ১ হাজার ১৩৮ জন। আহত হন আরো প্রায় ২ হাজার।
আট বছর পার হলেও এ ঘটনায় দায়ীদের এখনো বিচার হয়নি। ঐ সময়ে ভবনের মালিক রানাসহ কারখানার মালিকরা গ্রেফতার হলেও একমাত্র রানা ছাড়া বাকিরা জামিনে বেরিয়ে এসেছেন। জানা গেছে, আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণও শেষ হয়নি এখনো। ফলে এ মামলা কবে শেষ হবে, কিংবা দায়ীদের আদৌ বিচার হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে শ্রমিক প্রতিনিধিদের।
অন্যদিকে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বেশির ভাগই এখনো বেকার। শারীরিক ও মানসিক ট্রমার কারণে তারা কোনো কাজ দীর্ঘ সময় করতে পারেন না। ফলে কারখানা মালিকরা তাদের চাকরি দিতে উৎসাহ দেখান না। এসব শ্রমিকের পুনর্বাসনে কার্যকর কোনো উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে না। অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ৫৭ শতাংশই বেকার। যে ৪৩ শতাংশ কর্মসংস্থানে রয়েছেন, তাদেরও বেশির ভাগই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। আয়ও কম।
জরিপে উঠে এসেছে, করোনা পরিস্থিতি এসব শ্রমিকের আরও দুর্ভোগের দিকে ঠেলে দিয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীরা জানান, তাদের ৯২ শতাংশই করোনাকালে সরকারের দেওয়া সহযোগিতা পাননি। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হলেও ক্ষতিপূরণের কোনো জাতীয় মানদণ্ড এখনো তৈরি হয়নি। এ নিয়ে হতাশ শ্রমিক প্রতিনিধিরা।
শ্রমিক নেতা ও ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের (আইবিসি) সাবেক মহাসচিব তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিপূরণে জাতীয় মানদণ্ড এখন সময়ের দাবি। এছাড়া রানা প্লাজার ঘটনায় দায়ীদের বিচার আট বছরেও সম্পন্ন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক কেন লাশ হলো, তার বিচার হবে না? এ বিচারকাজ দ্রুত করার দাবি জানান তিনি।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের এক অনুষ্ঠানেও বক্তারা এত দিনেও আলোচিত এ ঘটনার বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন। আলোচিত এ ঘটনা কেন দ্রুত বিচার আইনে মামলা হলো না, সে প্রশ্ন তোলেন।