সুনামগঞ্জে বালু চুরি ঠেকাতে মাঠে নৌ-পুলিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ এপ্রিল ২০২১, ৯:১৭:৫১ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ধোপাজান বালু মহালে বালু চোরদের তান্ডবের পর মাঠে নামছে নৌ-পুলিশ। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়েছেন। দৈনিক জালালাবাদসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর বালু চোরদের ধরতে প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠেছে। এদিকে সুরমা নদীতে পণ্যবাহী নৌকা থেকে চাঁদাবাজী ঠেকাতে নৌ-পুলিশের অভিযান চলছে। জানা গেছে, জেলা পুলিশ ধোপাজান চলতি নদী বালু মহালে বালু উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ করতে চেক পোস্ট বসান নদীর উৎস মুখ সদরগড়ে। পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতে চাঁদাবাজি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও চেক পোস্ট প্রত্যাহারের পর বোমা মেশিনের তান্ডব বেড়ে যায়। বিনা বাধায় বালু ভর্তি নৌকা অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ইজারাবিহীন নদীতে এভাবেই বেড়ে চলছে বালু চোরদের দৌরাতœ। এমন তান্ডবের খবরে নৌ-পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে। নৌ-পুলিশ সুপার শম্পা ইয়াসমিন এর নির্দেশে টুকেরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযানে নামেন। ইতোমধ্যে তারা ৭টি ষ্টিলবডি নৌকা, ১টি জাহাজ, ১টি ভাল্ককেডসহ ১২ জন আসামীকে গ্রেফতার করেন। তাদের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়। টুকেরবাজার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রকিবুল ইসলাম বলেন, নদী পথে অবৈধ ভাবে বালু বহনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমাদের লোকবল কম এবং দ্রæত নৌ-পথে যোগাযোগের জন্য স্পীডবোর্ড না থাকায় অনেক সময় অভিযান ব্যাহত হয়। সরকারের নিকট লোকবল বৃদ্ধিসহ স্পীডবোর্ড প্রদানের জন্য দাবী জানান তিনি। পুলিশ সুপার শম্পা ইয়াসমিন বলেন, সুনামগঞ্জে নদীতে চাঁদাবাজী ঠেকাতে কিংবা ধোপাজান মহালে অবৈধ বোমা মেশিনে বালু উত্তোলন ও বিপননকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে। লোকবল বৃদ্ধিসহ স্পীডবোর্ড প্রদানের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে সমাধানের চেষ্টা করব।