ভারত স্ট্রেইনের শঙ্কা : সিলেটের ৬ বন্দরে সতর্কতা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০২১, ৪:১২:৩৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :
ভারতে আশঙ্কাজনক হারে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়াচ্ছে। ডাবল ও ট্রিবল মিউট্যান্ট ভাইরাসের কথা শোনা যাচ্ছে। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে চলে আসার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যদি ঢুকেই পড়ে তবে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ওটাকে সামাল দিতে প্রস্তুত নয় বলে শঙ্কা তাদের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে এখনও এই ভ্যারিয়েন্ট রিপোর্ট হয়নি। কিন্তু যেহেতু ভারত একেবারেই কাছের দেশ, বর্ডারগুলোও সীমিতভাবে চালু রয়েছে, স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াতও রয়েছে, তাই দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট আসতে বেশি দেরি লাগবে না। এসে পড়লে পরিস্থিতি ভয়ানক হবে। ভারতের এই স্ট্রেইন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য সিলেটের ছয়টি স্থলবন্দরে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসাথে ভারত থেকে আটকে পড়া কোনো বাংলাদেশি নাগরিক স্থলবন্দর দিয়ে ফিরলে তাকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট্র সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে সিলেটের গোয়াইনঘাটের তামাবিল স্থলবন্দর হয়ে সিলেটে আসেন ৪ হাজার ২১ জন। বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি স্থলবন্দর দিয়ে আসেন ১ হাজার ২০ জন। সিলেটের জকিগঞ্জ স্থলবন্দর দিয়ে আসেন ১ হাজার ১৬০ জন। হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের বাল্লা স্থলবন্দর আসেন ২২০ জন। মৌলভীবাজারের জুড়ীর ফুলতলা (বটুনী) স্থলবন্দর দিয়ে ১৮৯ জন। কুলাউড়া চাতলা স্থলবন্দর দিয়ে আসেন ৯৮০ জন।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক মো. আনিসুর রহমান বলেন, সিলেট বিভাগের স্থলবন্দর দিয়ে কেউ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তাকে অবশ্যই সরকারের নির্দেশনা অনুসারে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ জন্য স্থলবন্দরগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ২২ এপ্রিল এক আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে চলমান লকডাউনে বিদেশ থেকে প্রবাসী নাগরিকরা ফেরার পর কোয়ারেন্টিনের বিষয়ের আলোচনা হয়। এসময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, লকডাউনে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আসতে পারবেন। তবে ফেরার পর তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন তাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করবে। ভারতে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দেশ থেকে ফেরার পর কোয়ারেন্টিন জোরালো করতে চায় সরকার। সে কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।