বড়লেখায় ইউপি কার্যালয়ে অগ্নিকান্ড, অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০২১, ৮:১৮:৩৬ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি : বড়লেখার দক্ষিণভাগ উত্তর (কাঠালতলী) ইউপি কার্যালয় ভবনে রোববার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে পাকা টিনসেডের ইউনিয়ন কার্যালয় ভবনের ৫টি কক্ষ, কম্পিউটার, এয়ার কন্ডিশনার, আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনাটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, এ নিয়েও চলছে নানামুখী জল্পনা। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করবেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় লোকজন দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে ধোয়া বের হতে দেখেন। বিষয়টি তারা ইউপি চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিনকে জানান। পাশাপাশি তারা ফায়ার সার্ভিসেও খবর দেন। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই আগুনে ৫টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে চেয়ারম্যানের কক্ষ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কক্ষ, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও গ্রাম আদালত কক্ষসহ পাঁচটি কক্ষের পাশাপাশি ইউনিয়নের ৫টি কম্পিউটার এবং গুরুত্বপূর্ণ সকল নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের পাকা ৫টি কক্ষের আসবাবপত্র, আদালতের এজলাস, কম্পিউটার ও সকল গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন ইউনিয়নে ভীড় করেছেন। অনেকেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। গ্রাম পুলিশ জমির উদ্দিন জানান, রাতে গ্রাম পুলিশের এক সদস্য ইউনিয়নে ছিলেন। তিনি সকাল সাড়ে ৭টায় ইউনিয়ন থেকে যান। এরপরই হয়তো আগুন লেগেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে আগুন কীভাবে লেগেছে তা বলা যাচ্ছে না। গ্রাম আদালত সহকারী আমজাদ হোসেন পাপলু জানান, আগুনে গ্রাম আদালতের এজলাসসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পুড়ে গেছে। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। যা সহজে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।
ইউপি চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন জানান, সকাল ৮টার দিকে থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার মৌলভীবাজারে যাওয়ার সময় ইউনিয়ন থেকে ধোয়া বের হতে দেখেন আমাকে ফোনে জানান। দ্রুত গিয়ে দেখি সব কিছু পুড়ে ছাই। আগুন কীভাবে লেগেছে তা ঠিক বলা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। অগ্নিকান্ডে অন্তত ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের স্টশন অফিসার অনুপ কুমার সিংহ জানান, আগুনের সুত্রপাত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, সকালে মৌলভীবাজারের যাওয়ার সময় তালাবদ্ধ ইউনিয়ন অফিস থেকে ধোয়া বের হতে দেখে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানাই। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসেও কল দেই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান জানান, দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছেন। তিনি এ বিষয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবেন বলে জানিয়েছেন।