সুনামগঞ্জে বালু ভর্তি ১২ নৌকা আটক, ৬ লাখ টাকা জরিমানা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০২১, ৮:৫৯:২৪ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালি পাথর আমদানীর অভিযোগে ১২টি মালবাহী নৌযান আটক করেছে নৌপুলিশ সদস্যরা।
রোববার সকালে ধোপাজান নদী হতে বালি পাথর বোঝাই করে সুরমা নদীতে আসামাত্র উক্ত নৌযানগুলো আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদলত বসিয়ে প্রতিটি নৌকার মালিককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়।
জানা যায়, সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের টুকেরঘাট নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মোঃ রকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধোপাজান থেকে নৌকা ভর্তি বালু নিয়ে আসার পথে সুরমা নদীতে ১২ টি নৌকা আটক করা হয়। আটককৃত নৌকাগুলো হচ্ছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মনিপুরিহাটি ভাদেরটেক গ্রামের রজব আলীর পুত্র নুর আলম (২১) এর মালিকানাধীন মায়ের দোয়া বলগেড নৌপরিবহন, একই গ্রামের মোঃ আবুল কাশেম এর পুত্র মোঃ সাইদুল ইসলাম এর মালিকানাধীন গুলে মদিনা নৌপরিবহন, মৃত আব্দুল মালেকের পুত্র মোঃ কামাল হোসেনের মালিকানাধীন আল্লাহর দান নৌপরিবহন, মোঃ ফিরোজ মিয়ার পুত্র মোঃ গাফফার মিয়ার পরিচালিত সাফিয়া নৌপরিবহন, মৃত হাসান আলীর পুত্র মোঃ বকুল মিয়া পরিচালিত নামবিহীন বলগেড পরিবহন, ভাদেরটেক মধ্যপাড়া গ্রামের মোঃ শের আলীর পুত্র মোঃ ইমরান হোসেনের মালিকানাধীন আরমান নৌপরিবহন, সিরাজপুর বাকগাঁও গ্রামের হিরো মিয়ার পুত্র মোঃ রাজিব মিয়ার মালিকানাধীন এমভি দয়াময় নৌপরিবহন, আলীপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রহমানের পুত্র জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানাধীন মা বাবার দোয়া নৌপরিবহন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ডলুরা গ্রামের মোঃ শমসের আলীর পুত্র সাইজুল এর মালিকানাধীন এমভি বায়েজিদ নৌপরিবহন, কাইয়ারগাঁও দক্ষিণবাড়ী নিবাসী নুর মোহাম্মদের পুত্র মোঃ জমির হোসেনের মালিকানাধীন সানজিদা নৌ পরিবহন, জর্জরিয়া গ্রামের মোঃ হাবিবুল্লাহর পুত্র নুর মোহাম্মদ এর মালিকানাধীন বিমল নৌ পরিবহন ও লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের নুরুল্লা গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেন এর পুত্র মোঃ আক্তার হোসেন পরিচালিত এম ভি আক্তার শাহ নৌপরিবহন। রোববার বিকাল ৩টায় আটককৃত নৌযানগুলো বৈঠাখালি গুদারাঘাটে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সরজমিনে গিয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফ আদনান ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে প্রত্যেকটি নৌযানকে ৫০ হাজার টাকা হিসেবে মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোঃ ইমরান শাহরীয়ার।