পুরনো রূপে সিলেট
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০২১, ৯:৫৮:১০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সেই পুরনো রুপে ফিরেছে সিলেট। চলমান কঠোর লকডাউনের ১২তম দিনে দোকানপাট ও শপিং খোলার ১ম দিনে নগরীতে জনতার ঢল নামে। প্রচন্ড গরমের মধ্যে নগরীর বিপনী বিতানগুলোতে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়।
সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান পাট খোলা রাখার কথা থাকলেও এরপরও নগরীতে দোকানপাট খোলা রাখতে দেখা গেছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থিত মার্কেটে প্রশাসনের অভিযানে অনেককেই ৫টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করতে দেখা গেছে। করোনার এই কঠিন মহামারীর দিনে উপস্থিত মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। মাস্কবিহীন জনতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঝে মাঝে দুয়েকটা দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশ দোকানপাটে এর অস্তিত্ব ছিলনা।
রোববার প্রায় টানা ৩ সপ্তাহ পর শিথিল করা হয় লকডাউন। খুলে দেয়া হয় শপিংমল ও দোকানপাট। করোনা সংক্রমণের ভয় নিয়েই ঘর থেকে বের হচ্ছেন মানুষ। অচেনা নগর চেহারা পাল্টে ফিরে পায় পুরনো রূপ।
প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে বের হওয়া মানুষের জটলা আর যানবাহনের আধিক্যে গেল কয়েকদিনের বিরাজমান শূণ্যতা শেষে যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছে ছুটে চলা মানুষগুলো।
রোববার নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে চিরচেনা যানজট। যান আর জনে প্রাণ ফিরলেও করোনার এই মহামারিকালে নগরীর এই ব্যস্ততা নিয়ে শঙ্কিত সচেতনমহল। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে জনসমাগম আর শপিংমল ঘুরে কেনাকাটার এই মহোৎসব সিলেটে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে এমন শঙ্কা তাদের।
এছাড়া নগরীর তালতলা, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, সোবহানীঘাট, উপশহর, হুমায়ুন চত্বর এলাকায় ফুটপাত ও অলি-গলিতে মানুষের উপস্থিতিও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে পাশে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়ায় ফলে অন্যপাশ দিয়ে গাড়ি যাওয়া আসা করছে। এতে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা ও প্রাইভেটকারের অবাধ চলাচল করছে।
উপস্থিত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, সব দোকানপাট, শপিংমল এবং মার্কেট খোলার কারণে সিলেট নগরীতে যানবাহন ও মানুষের চাপ বেড়েছে। গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি না দেয়ায় সিএনজি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারে মার্কেট, কর্মস্থল ও প্রয়োজনীয় কাজে যাচ্ছেন মানুষ। তাই মুভমেন্ট পাস আছে কি না কিংবা জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না।
উল্লেখ্য-করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম দফার কঠোর লকডাউন শেষ হয়। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় আরও এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন যা শেষ হবে ২৮ এপ্রিল।