ভোলাগঞ্জে অবাধে প্রবেশ করছে ভারতীয় নাগরিক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ এপ্রিল ২০২১, ৯:৫৪:১৮ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করছে ভারতীয় নাগরিক। ১০ নম্বর বিজিবি’র পোস্টের সামনে দিয়ে অবাধে তারা প্রবেশ করছে ভোলাগঞ্জে। সেখানে দৈনন্দিন বাজার সদাই করে বিনা বাধায় আবার ভারতে প্রবেশ করছে তারা। ভারতের চলমান করোনার ভয়াবহ তান্ডবের মধ্যে ভারতীয় নাগরিকদের এমন আসা-যাওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছেন এই এলাকার মানুষ। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের যাওয়া আসা চলে। ভোলাগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে চুনা পাথর আমদানির অনুমতি থাকলেও ইমিগ্রেশন না থাকায় সেখান দিয়ে পণ্য কিংবা মানুষ যাতায়াতের কোন সুযোগ নেই। ভোলাগঞ্জের ১০ নম্বর একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হওয়ায় ভোলাগঞ্জ কালাশাদেক বিজিবি ক্যাম্প থেকে মাত্র ১ কিলোমিটারের মাথায় সীমান্ত এলাকায় একটি বিজিবি’র পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এই পোস্টের সামনে দিয়ে হরহামেশা ইন্ডিয়ান নাগরিক ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসেলেও বিজিবি তাতে বাধা দেয় না।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ভারতীয় নাগরিকরা চা পাতা, জিরা, সাবান, ব্যথানাশক বিভিন্ন মলম নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সেগুলো ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বরে টমটম মেশিনের (ছোট পাথর ভাঙ্গার মেশিন) মালিক, ম্যানেজার ও লেবার এবং স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে বাংলাদেশী টাকা দিয়ে ভোলাগঞ্জ বাজার থেকে মাছ, মোরগ, তরিতরকারিসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ ক্রয় করে ভারতে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ভারতীয় রুপি নিয়ে এসে কম দামে রুপিকে টাকায় পরিনত করে ভারতীয় নাগরিকরা। দীর্ঘদিন থেকে ভারতীয় নাগরিকরা ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর ১২৪৯ পিলারের পাশ দিয়ে এপার-ওপার হচ্ছে। এতদিন দু-দেশের অবস্থা ভালো থাকায় এলাকার কেউ কিছু বলেননি। বর্তমানে ভারতে করোনার উচ্চ সংক্রমণের কারণে তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারতীয় ভিন্নরূপের করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে বলে তাদের ধারণা।
সোমবার ৩ জন (মহিলা-২ পুরুষ-১) ভারতীয় অবৈধ প্রবেশকারী নাগরিকের সাথে ভোলাগঞ্জ মাছ বাজার কথা হলে তারা জানান, আমরা প্রায়ই আসি কেউ বাঁধা দেয় না। অবৈধভাবে কেন আসেন জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন এখানে আসতে আমাদের কোন কাগজ লাগে না। আমরা এসে বাজার-সদাই করে আবার চলে যাই।
কালাশাদেক বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি শুনেছি ১০ নম্বর দিয়ে ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষনিক গিয়ে কাউকে পাইনি। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি যাতে কেউ সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন আচার্য বলেন, ভোলাগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে মানুষ যাতায়াতের কোন সুযোগ নেই। আমি বিজিবিকে বিষয়টি অবগত করছি। যাতে কেউ এদিক দিয়ে কেউ সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে।