ঝুঁকি নিয়েই শপিংমলগুলোতে ভিড়
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ এপ্রিল ২০২১, ১১:০০:৪৪ অপরাহ্ন
# গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দোকানপাট খোলার সুফল নেই বলছেন ব্যবসায়ীরা
স্টাফ রিপোর্টার : করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই নগরীর শপিংমলগুলোতে ঈদ কেনাকাটায় ভিড় করছেন ক্রেতারা। তবে শপিংমলগুলোতে সুরক্ষা ব্যবস্থার যেমন অভাব, তেমনি কেউ কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। আর গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দোকানপাট খোলার সুফল এখনো না পাওয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের।
সরেজমিন নগরীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, একদিকে বিধিনিষেধ অন্যদিকে চলছে ঈদ কেনাকাটা। দুটোর সমন্বয় করতে গিয়েই তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন শপিংমল আর বিপণিবিতানগুলোতে। জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার ও নয়ানড়কে গাদাগাদি করে লোকজন চলাচল করছেন। ক্রেতারা যেনো এক সঙ্গে সবাই দোকানে প্রবেশ করতে প্রতিযোগিতা করেছেন। জিন্দাবাজরে রাস্তা দিয়ে অসংখ্য মানুষ পারাপার হওয়ার কারণে যানজটেরও সৃষ্টি হয়। এ সময় অনেকের মুখে মাস্কও দেখা যায়নি।
এদিকে, আল হামরা, ব্লু ওয়াটারসহ বড় মার্কেটগুলো প্রবেশদ্বারে জীবাণুনাশক টানেল থাকলেও অধিকাংশেরই নেই টানেল। কোন কোনো দোকানেই চোখে পড়েনি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার। আবার স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীনতা রয়েছে শপিংয়ে আসা ক্রেতাদের মধ্যেও। ঝুঁকি মাথায় নিয়ে শিশুদের নিয়েও আসছেন অনেকে।
শুকরিয়া মার্কেটে উপশহর থেকে আসা এক ক্রেতা বলেন, দেশের পরিস্থিতি ভালো নয়। কখন আবার লকডাউন দেয় বলা যায় না তাই নিজের ও বাচ্চাদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে বের হয়েছি।
আল হামরার এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কাস্টমার আসতে পারে না। আমাদের ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে। আমরা বছরের ১১ মাস অপেক্ষা করি এই একটি রমজান মাসের জন্য। সেই মাসটা গতবছরও আমরা পেলাম না, এই বছরও পেলাম না।’ আরেক ব্যবসায়ী বলেন, টাকার অংকে কমপক্ষে দশগুণ কম এবারের ঈদের বেচাকেনা।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দোকানপাট খুলতে বলা হয়েছে। এরপরেও যদি কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলে তাহলে সিলেটসহ সারাদেশ ঝুঁকিতে পড়বে।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী চলমান লকডাউনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে দোকানপাট। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।