সিলেটে ভারতফেরত ৬ জনকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মে ২০২১, ৯:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে ভারতফেরত ৬ জনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরে করোনার ভারতীয় ধরণ রয়েছে কী না তা পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া তাদেরকে হাসপাতালে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
সোমবার বিকেলের দিকে তাঁরা ভারত থেকে দেশে ফেরেন। পরে তাঁদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ভারতফেরত ছয়জনকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। পরে তাঁরা সোমবার সিলেটের বিভিন্ন স্থলবন্দর হয়ে দেশে ফেরেন। তাঁদের রোগের ধরন অনুযায়ী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশপাশি হাসপাতালে তাঁদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হবে।
সম্প্রতি ভারতে করোনভাইরাসের প্রভাব বৃদ্ধির পর সরকারিভাবে ভারতফেরত সবাইকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে সোমবার ভারতফেরত ছয়জনকে হাসপাতালে চিকিৎসার পাশাপাশি কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে ভর্তি করা হয়েছে।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ভারতফেরত ছয়জনকে হাসপাতালে চিকিৎসার পাশপাশি বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই করোনা ‘নেগেটিভ’ সনদ নিয়ে এসেছেন। এরপরও তাঁদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আজ বুধবার তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, ভারতফেরত ওই ছয়জন চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। এ জন্যই তাঁদের হাসপাতালে পরবর্তী চিকিৎসার পাশাপাশি কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে রাখা হয়েছে।
ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই রেকর্ড শনাক্ত ও মৃত্যু ঘটছে। করোনায় পুরো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রতিবেশি এই বৃহৎ দেশ। এ অবস্থায় সরকার ভারত ফেরতদের ব্যাপারে সর্তকতা জারি করেছে। সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম শামীম বলেন, সিলেট বিভাগের স্থলবন্দর দিয়ে কেউ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তাকে অবশ্যই সরকারের নির্দেশনা অনুসারে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এজন্য স্থলবন্দরগুলো সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।