ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও রোজিনার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ মে ২০২১, ৭:২৯:৩২ অপরাহ্ন
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলী আগ্রাসনের প্রতিবাদে ও সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তি এবং হেনস্থাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৪ টায় নগরীর সিটি কর্পোরেশন এর সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং সমাবেশ শেষে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা শাখার সমন্বয়ক বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়ের সভাপতিত্বে ও বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলার সদস্য বাসদ নেতা প্রণব জ্যোতি পালের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বাসদ জেলা সমন্বয়ক কমরেড আবু জাফর, সি পি বি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, ওয়ার্কার্স পাটির্ (মার্কসবাদী) জেলা সভাপতি সিরাজ আহমেদ, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা রেজাউর রহমান রানা প্রমুখ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সিপিবি জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাছান ও ওয়ার্কার্স পাটির্ (মার্কসবাদী) জেলার সাধারণ সম্পাদক হরিধন দাস।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ১১ দিন ধরে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নারী শিশুসহ প্রায় ২৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলী বিমান থেকে একের পর এক বোমাবর্ষণে বহু আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। ১০ হাজার ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। গাজা ভূখন্ডে ইসরায়েলী হামলা নিয়ে যখন বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ উদ্বিগ্ন, তখন ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সদম্ভে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘যতদিন প্রয়োজন হামলা চলবে। সম্প্রতি আস্থা ভোটে জয়ী হলেও ইসরায়েলের আভ্যন্তরীন রাজনীতিতে নানা প্রশ্নে নেতানিয়াহু অভিযুক্ত। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান সংহত করতে ফিলিস্তিনের ওপর অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছেন বলে ধারণা প্রকাশ পাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে, এমন মন্তব্য যেমন পক্ষপাতদুষ্ট, তেমনি তা কার্যত গাজায় নিরীহ মানুষ হত্যাকে বৈধতা দেয়ার সামিল। আত্মরক্ষার অজুহাত তুলে ইসরায়েল একের পর এক ফিলিস্তিন ভূখন্ডে দখল করবে, বোমা মেরে, ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তাদের হত্যা করবে,এটি হতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিও আহবান জানান বিশ্বশান্তির পক্ষে এবং ইসরায়েল এর এই বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নেয়ার জন্য।
নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বলেন, রোজিনা ইসলামকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার প্রমাণ করে বর্তমান সরকার দূর্নীতিবাজদের রক্ষাকর্তা। রোজিনার গ্রেফতারের ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতা, মানবাধিকার ও নাগরিক মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে এবং নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করেছে।
নেতৃবৃন্দ রোজিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে শর্তহীন মুক্তি দাবি জানান এবং রোজিনাকে হেনস্থাকারী আমলা, পুলিশের শাস্তি, স্বাস্থমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণের দাবি জানান।