গোলাপগঞ্জে তরুণীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৪
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মে ২০২১, ১০:১৯:০২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ১৮ বছরের এক তরুণীকে জঙ্গলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিকসহ ৪ জনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। রোববার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলো, উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের তুরুকভাগ গ্রামের লিলু মিয়ার ছেলে আব্দুল হাকিম (২০), দক্ষিণ কান্দিগাঁও গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে রাজন আহমদ (২২), খালপাড় গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে শিপন আহমদ (১৯) ও শাহপরান উপজেলার পীরের চক গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আক্তার হোসেন (২৩)।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের গণ্ডামারা গ্রামের চরোরাগোল্লা নামক স্থানে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, প্রায় ২ মাস আগে সিএনজি অটোরিকশায় যোগে যাওয়ার সময় মুরাদপুরে ওই তরুণীর সাথে অভিযুক্ত আব্দুল হাকিমের পরিচয় হয়। এ সময় আব্দুল হাকিম তার ফোন নাম্বার তরুণীকে দেয়। প্রায় দুই মাস ধরে নিয়মিত যোগাযোগের ফলে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর প্রেক্ষিতে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে প্রেমিক আব্দুল হাকিম কল দিয়ে তরুণীকে মুরাদপুর বাজারে আসতে বলে। নির্ধারিত সময়ে তরুণী মুরাদপুর বাজারে এলে একটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে তরুণীকে নিয়ে গণ্ডামারা গ্রামের চরোরাগোল্লা এলাকায় টিলার পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় প্রেমিক আব্দুল হাকিম বন্ধুদের ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে আসার কথা বলে। তরুণী জানতে চাইলে সে বলে তাকে নিয়ে বেড়াতে যাবে। প্রেমিক আব্দুল হাকিমের ফোন পেয়ে বন্ধুরা ঘটনাস্থলে এসে ঐ তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তরুণীকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট নিয়ে যান। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান সবাইকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুনুর রশীদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে ওই তরুণীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।