কোম্পানীগঞ্জে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মে ২০২১, ৮:৫০:৩৬ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: হঠাৎ করেই ঝড়ো হাওয়ায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রচ- গতির বাতাসে কাঁচা ঘর ভেঙে পড়াসহ উড়ে গেছে টিনের চালা। কোথাও কোথাও গাছ ভেঙে সড়কের ওপরে পড়ায় যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়া প্রায় ৫০টি পরিবার চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
সোমবার রাতে হঠাৎ করে শুরু হয় ঝড়ো বাতাস। প্রচন্ড গতির ঝড়ো বাতাসে উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের বাঘারপাড়, ঢোলাখাল, রাজারখাল, বৈশাকান্দি, লম্বাকান্দিসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫০টি ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো কোনো ঘর পুরোটাই উড়িয়ে নিয়েছে আবার কোন ঘরের চালা উড়িয়ে নিয়েছে। ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে বসতবাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন সড়কের দুই পাশের ছোট বড় বেশকিছু গাছপালা। বিদ্যুতের তারের উপর গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত। গাছপালা কেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন।
ঝড়ে বিধ্বস্ত বাঘারপাড় গ্রামের দিনমজুর আবু তাহের বলেন, অভাবের সংসারে বউ-বাচ্চা নিয়ে একটি টিনের ছাওনির ঘরে বসবাস করছিলাম। সোমবার রাতের ঝড়ে আমার ঘরের খুঁটিসহ উড়িয়ে নিয়ে যায়। ঘরের চালা উড়িয়ে গাছের ডালের সাথে আটকিয়ে রেখেছে। নতুন করে আরেকটি ঘর বানানোর মতো সামর্থ্য নেই আমার। সরকার থেকে যদি সহযোগিতা না পাই তাহলে কারো ঘরে আশ্রিত হয়ে থাকতে হবে। শুধু আবু তাহের নয়, এই এলাকার অনেকেরই অবস্থা এখন আবু তাহেরের মতো। তারা সরকারের সহযোগিতার দিকে চেয়ে আছে।
ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, আমি ঝড়ে বিধ্বস্ত বিভিন্ন গ্রামের ঘরবাড়ি পরিদর্শন করে তাদের তালিকা সংগ্রহ করেছি। তাদেরকে সহায়তার জন্য সেগুলো জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করছি শীঘ্রই তাদেরকে সহযোগিতা করতে পারব।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কান্তি জানান এ পর্যন্ত পুরো উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের লোকজনকে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করতে পাঠিয়েছি। বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।