ছাগল সমাচার
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জুন ২০২১, ৭:৪৩:৪১ অপরাহ্ন
সালেহ আহমদ খসরু
‘ছাগল পালে পাগল’ বা ‘ছাগল কোথাকার’ এমন গালি ছিল যার কপালে এবং এহেন নির্বোধ ছাগল জাতি তাচ্ছিল্যের সাথেই আলোচিত হতো-এই কালো লাল হরিৎ হরেক রঙের সাধাসিধা প্রাণী। কিন্তু তদানীন্তন বিএনপি সরকারের আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট বা ছাগলকে আলোর পাদপীঠে নিয়ে আসেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে তরুণদের জন্যে হয়ে উঠে কর্মসংস্থানের আরও একটি উপলক্ষ। এবং যা পরবর্তীতে চালু রেখেছিল এক-এগারোর অন্তর্র্বতীকালীন সরকার এবং এখনো চলমান। যদিও এখন তেমন আলোচনা আর বেশি শোনা যায় না, ব্ল্যাক বেঙ্গল নিয়ে তথাপি চালু আছে সেই কর্মসূচি সেটিই মোদ্দা কথা।
তবে কি কারণে এই অসহায় ছাগল আবার রোষের শিকার হলো সেটি রাজনৈতিক না-কি তাচ্ছিল্য তা বোঝার আগে এটি বলা বোধহয় আর অন্যায় হবেনা যে, কেউ ছাগল পালন করলে তাকে টিএনও’র দুয়ারে পাঠিয়ে দিতে হবে, তখন ছাগলকে জরিমানা করে ছাগুশ্রেণীর জাত ছাড়া করে দিতে বা বজ্জাতি সব কর্ম করতে সিদ্ধহস্ত টি এন ও (নারী শ্রেণী) বেশ পারঙ্গম বা তিনিই যথেষ্ট! আর তা-ও না হলে অতিরিক্ত সচিব (নারী) বাহাদুরের কাছে পৌঁছে দিলে জরিমানার সাথে জেলও হয়ে যেতে পারে, সম্প্রতি সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ঘটনা তাই জানান দেয়! কারণ এমন প্রাণীর নাম নেয়া হলে দোষ ছাড়া কিছু নেই বলেই অধুনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এক উপজেলায়।
তবে নারী টিএনও হয়তো রাগ করেছেন তার বাগানে ছাগল এলো কেন! বরং শক্তিশালী একখানা খাশি এলে না হয় আদরযুক্ত মোলায়েম মখমলি আচারে আম-কাঠালের মৌ মৌ গন্ধ নিয়ে রাতের আকাশে তাঁরা গুণে গুণে ঘুমানো যেত বা খাশী নিয়ে একখানা এরশাদ মার্কা কবিতাও লেখা যেত! এখন যদি কেউ বলেন ছাগল আর খাশি তফাৎ কি!! উত্তর- জরিমানা গুণা ছাগল পুংলিঙ্গ না স্ত্রী লিঙ্গ ছিল আমরা জানিনা! এতে আবার দেশের মানুষের মাঝে কেউ যদি দোষের কিছু ভাবেন তবে সেই দায় ভাবুকের, আমার নয় বটে। অত:পর জেনেছি টি.এন.ও. কলমের খোঁচা পেয়ে সম্বিত ফিরে পেয়েছেন, সিদ্ধান্ত অদলবদল করেছেন।
ক’দিন আগে ৩৩৩ বিশেষ সরকারি দান-খয়রাতের নাম্বারে কল দিয়ে বিপাকে পড়েন ময়মনসিংহ বিভাগের এক বয়োবৃদ্ধ, তাঁর অপরাধ পাকা বাড়িতে খাট পালঙ্কে বসবাস করে খাবার চেয়ে ঐ বিশেষ টেলিফোনে কল দিয়ে বলেছেন তিনি খাদ্যাভাবে ক্ষুধার্ত। নারী ইউ.এন.ও. ছুটে গেছেন এবং পালঙ্ক দেখে তিনি মনে করেছেন এমন আয়েসে যিনি রাতে নিদ্রা যান সেখানে ক্ষুধার্ত হয়ে ঘুম আসেনা এ-ও কি সম্ভব! ব্যাস সেই সুখের ঘুম যেন হারাম হয়ে যায় সেই লক্ষ্যে দিলেন জরিমানা করে যে, একশত মানুষের মাঝে পাঁচ কেজি করে চাল নুন আরও কিছু আনুষঙ্গিক বিলিয়ে দিতে হবে। স্বরাজের লোক বলে কথা! কার সাধ্য আছে ব্যত্যয় করে! অথচ একটু হৃদয় দিয়ে খোঁজ নিলে স্পষ্ট হতো দৃশ্যত কতো সুখী মুখ কান্নার সাগরে ডুবে আছে! সেটি সেখানে যা গোটা দেশেও তাই। পরবর্তীতে এখানেও উপরওয়ালার আদেশ পেয়ে অন্যরকম সিদ্ধান্ত হয়েছে অত:পর। কিন্তু যে লাঞ্ছনা তিনি সয়ে গেলেন এবং তাঁর স্ত্রী’র কান্না যারা টেলিভিশন পর্দায় দেখেছেন তাঁদের অনেকেই নিজের অশ্রু সংবরণ করতে পারেন নি।
তারও কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জ ডিসি অন্নবস্ত্র বাসস্থান ছাড়া এক পথশিশুর সালাম নিয়ে নির্বিকার হেঁটে গেলেন ভাবের সাগরে ভেসে, অথচ যে কিশোর মুচকি হাসি দিয়ে সালাম দিল তার হাসির আড়ালে যে কতো কান্না সে খবর তিনি নিলেন কি-না সে খবর আমিও নেইনি। তবে তিনি নিয়েছেন বলে শুনেছি কিন্তু ঐ দুষ্টু কলমের খোঁচার পরে, দূর্ভাগ্যবশত তিনিও নারী আমলা।
কোভিড-১৯ এর শুরুতে নীলফামারি বা উত্তরাঞ্চলের কোন এক উপজেলার টিএনও সত্তর বছরের বৃদ্ধ পুরুষকে চড় মারতেও উদ্যত হয়ে পরে কান ধরে ওঠবস করিয়েছিলেন মাস্ক না পরার অপরাধে, তিনিও নারী আমলা।
বেশ ক’মাস হয়ে গেল মনে নেই উপজেলার নাম, তবে স্পষ্ট স্মরণ করছি উত্তরাঞ্চল বা দক্ষিণাঞ্চলের এক টিএনও কি দুঃসহনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাঁর নিজের সরকারি বাসভবনে গভীর রাতে এবং কোনমতে বেঁচে গেছেন আল্লাহপাক এর দয়ায় সরকারি সুচিকিৎসার উছিলায়। পরে জানা যায় সেখানেও ঘুষের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বনিবনা হয়নি প্রভাবশালী দালালের সাথে এবং সেই ফলশ্রুতিতে এমন লোমহর্ষক পরিকল্পনা করেছিল দালাল চক্র! আফসোস এখানেও আমলা চরিত্রটি নারী।
সিলেটের এক নারী সার্জেন্ট কোভিড-১৯ এর পূর্বে হঠাৎ আলোচিত হয়ে যান যেনতেন প্রকারে নায়কীয় কায়দায় গাড়ি মোটরসাইকেল আটক করে এবং নিজেকে জাহির করতেন মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে যেন অপ্সরাও লজ্জা পায়! পি.আর.বি. সেখানে জরুরী কোন বিধান ছিলো না, এখন তিনি কোথায় আছেন তার খোঁজও আমি নেইনি! এই আমার এক দোষ, দেখি শুনি ভাবি কিন্তু খবরও নেইনা- আমার নাগরিক দায়িত্ব কি সেটাও জানিনা, অথচ কলমখানা উশখুশ করে তাই চালিয়ে দেই এবং এই দায় আমার মতো হাজারো তরুণ-যুবকের। আমাকে তরুণ বলায় হাসছেন! হাসুন, কিন্তু আমি ষাটের ঘরের তরুণ কলম চালিয়ে যতখানি তারুণ্য অনুভব করি ততখানি পঁচিশ পেরুনো তারুণ্যে দৃশ্যমান হয়না বলেই মনে মনে পুলকিত হই-আমার চেয়ে বড় তরুণ আর কে ভাই!!
তারও বহু বছর আগে সিলেটের পার্শ্ববর্তী জেলায় এক নারী এসপি ছিলেন, তিনি যে পরিমাণ বাহাদুরি করে বেড়াতেন সেটি নিয়েও মুখরোচক অনেক কথা ছিল-যা পুলিশের পোশাকে যায় না! তবে আজকাল পোশাক কিংবা পদের মর্যাদা বুঝে চাকুরী বা বাণিজ্যে অথবা রাজনীতি সেকি আর কেউ করে! তাই পুলিশের পি আর বি আর সিভিল প্রশাসনের কোড্ অব কন্ডাক্ট অথবা প্রজাতন্ত্রের জন্যে প্রশাসন যাই বলি সব যেন সিনেমার নায়িকা অথবা নায়ক-ভিলেন সবই একাকার।
কথা হলো নারী আমলা চোখে পড়ে পুরুষ নয় কেন!! পুরুষ জাতি সেই আদিকাল থেকেই নিষ্পেষণ চালিয়ে যাচ্ছে এ দেশে-যা সুদুর পাশ্চাত্যেও তাই। পুরুষের কাছে প্রত্যাশা এখনো আছে তবে তা নিভু নিভু এক সলতে আলো! প্রায় পঁচিশ বছর আগে নিউইয়র্ক টাইমসের এক গবেষণা রিপোর্ট বলছে- আমেরিকার পুরুষগণ তাদের স্ত্রীকে পেটানোর হার প্রায় সাতাত্তর শতাংশ, যদি আমার স্মৃতি রোমন্থন ভুল না হয় (৯৪ সাল) আর ডিভোর্স’র হার প্রায় পঁচাশি, এখনো তাই। অথচ ওঁরা সভ্যতার আলোতে না-কি shower বা অবগাহন করে!! সেদিক বিবেচনা করলে চুরানব্বই সালে আমাদের অতো খারাপ অবস্থা নয় বরং তখন অনেক সুস্থ না হলেও ভালো একটা সামাজিক বন্ধন ছিল সমাজে। আরও স্পষ্ট করে যদি বলি তবে এটি সকল পূর্বসূরি ও সমসাময়িক মানবেন যে, সত্তর দশক বা তারও আগে আমাদের পারিবারিক মেলবন্ধন উদাহরণ হতো এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পাশ্চাত্যের অসভ্যতা কল্পনাতেও জল্পনা হতো না এ দেশে। তাই তাদের ‘সাওয়ার’ কেবলই উদ্দামতা আর আমার স্নান নদীর জলে কিংবা গেরামের পুকুরে বর্ণিল ও তৃপ্তির পরশে সেখানে নারী পুরুষ স্নান সেরে প্রশান্তির সুখে অবগাহন করে। এমনকি শহুরে সাওয়ারও এখনো ততোটা কাঁটা হয়ে বেঁধেনা। অতএব, উদ্দাম সভ্যতা আমার নয়-তেমনি কালা পানির ঐ মানুষ যে বস্ত্র পরিধান করেই আইনের নিপুণ শাসনে কেবল সভ্য, সে বুঝতে সক্ষম মোরা! আফসোস এই আইনের শাসন কেবল নেই আমাদের, নচেৎ প্রিয় স্বদেশের চিত্র বিশ্বে উদাহরণ হতো।
আজ নারীর ক্ষমতায়ন এগিয়ে যেতেই নারীর মাতৃরূপ-বোনের আদর-বন্ধুর কেয়ারিং যা ছিল আশা জাগানিয়া ভবিষ্যৎ তা যেন উধাও হয়ে গেছে বা যাচ্ছে! আজ তিরিশ বছর ধরে আমাদের সরকার প্রধান ও বিরোধী দলীয় নেতা নারী। আমাদের দেশের মানুষ কতটা নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনকারী হলে পরে এটিকে আপন করে নিয়েছে তা যদি কেউ গবেষণা করে তবে বুঝতে সক্ষম হবে আসলেই আমরা মুলত নারীকে মা বোন খালা ফুপু চাচী স্ত্রী কন্যা এমন রূপে ভীষণ ভালোবাসি। তাই যখন দেখি ওখানে ডিসি, ইউএনও, এসপি, উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান নারী, ওসি নারী তখন উদ্বেলিত হই- এবার বোধহয় আমি পুরুষের অসুর রূপ নিয়ন্ত্রিত হবে-বোন আমার এসে গেছে ক্ষমতার কেন্দ্রে, কিন্তু আফসোস তা যেন বুমেরাং হয়ে আরও দৈত্য বানিয়েছে! অথচ যা হতে পরতো রাজহংসী শুভ্র বলাকা এবং আমাদের মনের নীলাকাশ স্বচ্ছতার অরুণ আলোয় ভরিয়ে দিতে পারতো – আফসোস তা হয়নি!
এখন কেউ যদি অবচেতন মনে বা ভিন্ন কেউ চেতনার বেপারী হয়ে আমাকে নারী বিদ্বেষী মনে করে থাকেন তবে ভীষণ কষ্ট পাবো! নারী আমার কাছে প্রেয়সী স্ত্রী কন্যা জায়া জননীর মতো। সেই ভাবনা টুকু আজও কারও কাছে বোঝাতে সক্ষম হইনি যে, দিনশেষে একটি কবিতা যখন মনে বাস করে সে কিন্তু নারী। তাই কবিতাকে বিদেয় করি সেই ইচ্ছে যেমন নেই, আবার কবিতা তোমায় ছুঁয়ে দেখবোনা সেই ভাবনাও পরাহত। তাই কখনো মনে হয় প্রিয় কবি নজরুলের শব্দমালা দিয়ে যদি বলি – ‘পুরুষ ভাবে আমি নারী ঘেষা আর নারী ভাবে নারী বিদ্বেষী ‘সত্যিকার অর্থে তার কোনটাই আমি নই বরং নারীর ক্ষমতায়ন এগিয়ে যাক-এই স্বপ্নের আমিও সারথি।
মন বলছে- একঝাঁক নারী প্রশাসনের রন্ধ্রে যারা ঢুকে গেছেন তারা বেশিরভাগ যোগ্যতার মানদণ্ডে আসেননি বরং পুরুষ কর্তাদের নানান অনৈতিক সুবিধা দিয়ে যেটি মুলতঃ অর্থ-বান্ডিল পকেটে পুরেই তবে আজ গদিনাসীন হয়েছেন! তারই ফলশ্রুতিতে এসব কর্মকা- নারীর মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করছে তথা মানুষের আকাঙ্খার অপমৃত্যু ঘটছে। তাই আমি মনে করি ক্ষমতায়ন নয় বরং দায়িত্বশীল পরিচালকের ভূমিকায় যখন নারী ও পুরুষ পদায়নের বিন্যাস হবে, তখন সাধারণ মানুষ কোন অসুর নয়-পাবে প্রাণের সুর, আর তখনই স্বস্থির শ্বাস নিবে মানুষ।
এসব নিয়ে যে লিখছি এতে না কেউ বলে বসেন খসরু মিয়ার হয়েছে কি!! কাজ নেইতো খই ভাজ! তাই খই ভাজতে গিয়ে এমন আরও বহু ঘটনা তুলে আনা যায় গুগল সার্চ ইঞ্জিন চালু করলে, কিন্তু সেই সময় কই! দরকার-ই-বা কি!! আর স্মরণ শক্তির হয়েছে যত সমস্যা সে আর আগের মতো সায় দিতে চায়না, তাই সব কথা তুলে আনা নিস্তরঙ্গ রাতগুলোর মতো ঢেউখেলানো স্বপ্ন ছাড়া যেন অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ! তাই এসব নিয়ে ভাবতে গেলে হতাশা বাড়ে অতএব ঘুমের চেষ্টা বেশি করি, জাগার চেষ্টা কম, আর এমনিতেই পুরো জাতি ঘুমিয়ে আমি আর ষাটের তরুণ জেগে কি হবে! এদিকে ঘুম পাড়ানিয়া মা-ও নেই, স্ত্রী কেবল ধমক না-হয় একটু সোহাগ করে বলেন-তোমাকে বাঁচতে হবে আমাদের জন্য, তাই ঘুমাও।
আর আমার একটুস-খানি তারুণ্য যা-ই আছে তাই নিয়ে আজও কেন যেন ভাবি দেখি না কলমের দুফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে কেউ যদি জাগে, কেউ হয়তো আসবে কান্নার জল সাগরের গর্জনে মুছে দিতে! এসব ভবিষ্যৎ স্বপন যে অনেকটা হাস্যরসের যোগান দিবে সে নিয়েও আমার শঙ্কা আছে! তাই বদলে দেবার স্বপন কোন স্বপ্নবাজ দূরদর্শী বিপ্লবী দেখুন, তখন না-হয় সাথী হবো। সুন্দরবনের বাঘ যতোই ভয়ঙ্কর হোক সেটি বনের রুপ, তাইতো সেখানে হরিণ যেমন আছে সরীসৃপও থাকে আবার সেথা একজাতের গাছ আছে যাকে সুন্দরী বলে। ওখানের সব প্রাণীকুল যেমন ব্যালেন্স করে তৈরী করেছে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন, তেমনি এই প্রশাসনে সুযোগ দিতে হবে কেবল ডিগ্রিধারী নয় বরং মনুষ্যত্ব বোধের কিছু জিয়নকাঠি-সে পুরুষই হোক অথবা নারী।
অন্তত এটুকু আজ বলতেই হয় ব্ল্যাক বেঙ্গল হোক আর হোয়াইট ডিয়ার হোক, ছাগল দিয়ে হালচাষ যেমন হয়না তেমনি ব্যাঘ্র ছাড়া সুন্দরবনও সুন্দরী হয়না। কিন্তু তারও আগে জরুরী কলুষমুক্ত রাজনৈতিক সরকার ব্যবস্থা, তবেই তিমিরে হারানো স্বপ্ন ফিরে এসে গড়ে দিবে নতুন সূর্যোদয়ের বাংলাদেশ।