২ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে বাড়লো ২৫
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জুন ২০২১, ১১:০০:২৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ভোজ্যতেলের পর এবার অস্থির পেঁয়াজের বাজার। গত দুইদিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত রোববার সিলেটের পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকা। এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে থেকে ৬২ টাকা। এবং খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা করে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আনার ক্ষেত্রে আমদানিপত্র আইপি (ইম্পোর্ট পারমিট) বন্ধ থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কালীঘাটের ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি পেঁয়াজ দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা জানান, ২৬ এপ্রিল থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) খুলতে দেয়া হচ্ছে না। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির যে অনুমতি ছিল, তার মেয়াদ গত ২৯ এপ্রিল শেষ হয়ে গেছে। এরপর আর নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পাওয়া যায়নি। অনেক আমদানিকারক আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত অনুমতি পাননি। ভারতীয় পেঁয়াজ যতক্ষণ আমদানি হচ্ছে না ততক্ষণ দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না তারা।
গত দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজ আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। সরকার যদি নতুন করে আইপি অনুমোদন না দেয়, তবে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নগরীর কালীঘাট পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ২০ থেকে ২২ টাকা টাকা বেড়ে গিয়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৬২ টাকায়। এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা কেজি। একই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৬৫ টাকা থেকে ৬৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মিয়ানমার থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানি করছেন কিছু কিছু আমদানিকারক। মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৫ টাকার বেশি দামে। এক সপ্তাহ আগেও এ পেঁয়াজ ছিল কেজিপ্রতি ৪৫ টাকার কম। জানা যায়, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি-৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি ৪ লাখ টন।
নগরীর দাড়িয়াপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী পিংকু দাস বলেন, গত দুইদিন আগে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। কাল(মঙ্গলবার) পাইকারী বাজারে গিয়ে দেখি পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি। আজ (বুধবার) তা বেড়ে গিয়ে ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমরা খুচরা বাজারে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি করছি। দেশি
কালীঘাটের মিন্টু ট্রেডার্সের ব্যবসায়ী শশাঙ্ক শেখর রায় বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ রয়েছে। তাই বাজারে মালের ঘাটতি থাকায় গতকাল পেঁয়াজের দাম বাড়তি ছিলো। তবে আজ দেশি পেঁয়াজের দাম কমছে। পাইকারী বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিলেটের বাজার কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মোরশেদ কাদের বলেন, পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের বিকল্প দেশ মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে আমদানি বন্ধ থাকায় বাজার থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রায় উধাও। ফলে খানিকটা চাপ পড়েছে দেশীয় পেঁয়াজের ওপর। তাই দাম বাড়তি।