উন্নত ই-কমার্স সেবায় দারাজ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৭:০৩:৪৮ অপরাহ্ন
শাকিব হাসান
একবিংশ শতাব্দীতে এসে মানুষ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ এখন আগের চেয়ে আরও ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী বিকাশের ফলে মানুষের রুচি ও চাহিদায়ও এসেছে পরিবর্তন। ব্যস্ত হয়ে ওঠা মানুষের সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল এসব চাহিদা পূরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বিশ্বব্যাপী এখন অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রসার বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশেও বৃদ্ধি পাচ্ছে ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা।
বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড। ২০১৪ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকেই ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ডেলিভারি দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। উন্নত মানসম্পন্ন পণ্য, দ্রুত ডেলিভারি ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অ্যাপ ও ক্রেতা-বান্ধব উন্নত সেবা – সবকিছু মিলিয়েই দারাজ আজ দেশের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। সাত বছরের দীর্ঘ যাত্রায় দেশের মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে বর্তমানে দারাজ প্রতিদিন প্রায় দেড় লাখেরও বেশি পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছে। পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠান হিসেবে দারাজের গ্রহণযোগ্যতা ও সাফল্য দেশের ই-কমার্স খাতকেও আরও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করে তুলছে।
ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা’র তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় দারাজ বাংলাদেশ। ফলে, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, আলিবাবা’র ব্যবসায়িক কাঠামোর আদলে গড়ে উঠেছে দারাজের ব্যবস্থাপনা। এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অ্যাপ ক্রেতাদের আগ্রহ ও সার্চ প্যাটার্ন অনুযায়ী পণ্য সাজেস্ট করে; ফলে ক্রেতারা সহজেই তাদের পছন্দসই পণ্য খুঁজে পান। দারাজের নিজস্ব ওয়্যারহাউজ ও ডেলিভারি ব্যবস্থার পাশাপাশি, প্রতিনিয়ত প্রতিষ্ঠানটি তাদের সেবা উন্নয়নে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। ক্রেতাদের জীবনকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে এমন উদ্ভাবনী ব্যবস্থাপনা ও উদ্যোগই দারাজকে অন্যান্য ই-কমার্সের চেয়ে এগিয়ে রেখছে।
দেশের বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে দারাজ দেশের সর্বত্র তাদের ডেলিভারি ব্যবস্থাকে বিস্তৃত করেছে। বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলাতেই তাদের নিজস্ব ডেলিভারি ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে, শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরাও এখন ঘরে বসে অনলাইনে অর্ডার করে দেশী বিদেশী সকল ব্র্যান্ডের আসল পণ্য হাতে পেয়ে যাচ্ছেন দ্রুততম সময়ে। ক্যাশ অন ডেলিভারি সেবার পাশাপাশি দারাজে নিরাপদ রিটার্ন ও রিফান্ড সুবিধাও রয়েছে।
বিগত দেড় বছরে বৈশ্বিক করোনা মহামারির ফলে মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাজারে যাওয়ার সময়ও মানুষকে মহামারির শঙ্কা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। মানুষের এমন দুশ্চিন্তা লাঘবে চলমান করোনা মহামারিতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে দারাজ বাংলাদেশ। নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানুষের সমাগম এড়াতে ও সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে চলতে মানুষ যখন ঘরে বসে বন্দি জীবন অতিবাহিত করছে, তখন মানুষের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পণ্য ঘরে পৌছে দিচ্ছে দারাজ। মহামারির মাঝেও, দেশব্যাপী নিজেদের ৬৪ জেলায় থাকা ডেলিভারি ব্যবস্থার মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল ধরণের পণ্য দ্রুততম সময়ে মানুষের দরজায় পৌছে দিতে সারাদেশে নিরলস কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। ক্রেতাদের সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিক্রেতাদের সহায়তায়ও দারাজ সেলার মৈত্রী প্রোগ্রাম ও সেলার ফাইন্যান্স প্রোগ্রাম – এর মত উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মহামারির আতংকে থাকা ক্রেতাদের এ অসময়ে বন্ধুর মতো পাশে থেকে দারাজ মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করেছে।
মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল ধরণের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে, সম্প্রতি, দারাজ অ্যাপ ভিত্তিক ফুড ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান ‘হাংরিনাকি’ অধিগ্রহণ করেছে। দারাজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হাংরিনাকি থেকে ক্রেতারা বিভিন্ন অফারে সাশ্রয়ী মূল্যে ঘরে বসে তাদের পছন্দসই বিভিন্ন খাবার অর্ডার করতে পারবেন।
সর্বোপরি, দেশের ই-কমার্স খাতে দারাজ বাংলাদেশ অন্যতম একটি মাইলফলক। আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পৌছে দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি দেশের ই-কমার্সে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। করোনা মহামারিতে সহযোগী হিসেবে শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পাশে থেকে, অর্জন করেছে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। সামগ্রিক ডিজিটাল ইকোসিস্টেম বিকাশে দারাজের চলমান এ অগ্রগতি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠা দেশের সাধারণ মানুষের জীবনকে করে তুলছে আরও স্বাচ্ছ্যন্দময় ও সাবলীল।