নগরীতে টিকার এসএমএস বন্ধ : ৩ দিন টিকা পাবেন শুধু এসএমএস প্রাপ্তরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১২:৩০:৪৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : নগরীতে বাড়ছে এসএমএস পেয়েও করোনার টিকার না নেয়া মানুষের সংখ্যা। ফলে এসএমএস পেয়েও টিকা নেয়া থেকে বিরত রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার নিবন্ধিত। বাধ্য হয়ে শনিবার থেকে নতুন এসএমএস দেয়া বন্ধ রেখেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ। রোববার থেকে টানা ৩ দিন শুধু পুর্বে এসএমএস প্রাপ্তরা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে ১ম ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা নিতে পারবেন। তবে এসএমএস প্রাপ্তি নিশ্চিত না হলে কাউকে টিকা দেয়া হবেনা।
এদিকে এসএমএস বন্ধের খবরে শনিবার ওসমানী হাসপাতাল কেন্দ্রে ভীড় জমান অনেক মানুষ। এরমধ্যে এসএমএস প্রাপ্ত ছাড়াও অনেক লোক জমায়েত হন। মানুষের উপস্থিতি সামাল দিতে দুপুর ১টার পর ওসমানী হাসপাতালে ফাইজারের ১ম ডোজ দেয়া বন্ধ রাখা হয়। ১ টার পর শুধু মহিলাদের ফাইজারের ১ম ডোজ দিয়ে অপেক্ষমাণ পুরুষদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে বিদেশগামী টিকাগ্রহীতার চাপ অনেকটা কমে গেছে। সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় ফাইজারের টিকা চালু থাকায় এই চাপ কমেছে। গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত নগরীর কেন্দ্রে ৯০০ জন বিদেশগামী প্রবাসী এপসের মাধ্যমে নতুন করে নিবন্ধন করেছেন। যা পূর্বের সংখ্যা থেকে অনেক কম। নগরীতে বর্তমানে এসএমএস পেয়েও টিকা নেয়া থেকে বিরত রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার নিবন্ধিত। এরমধ্যে বিদেশগামী নিবন্ধিতরাও আছেন। শনিবার থেকে এসএমএস ছাড়া টিকা দেয়া শুরু হয়েছে এই কর্মসূচী চলবে ৩ থেকে ৪ দিন। এরপরও যদি এসএমএস প্রাপ্তরা অপেক্ষমাণ থাকেন তখন প্রয়োজনে তাদেরকে পুনরায় এসএমএস দেয়া হবে। এছাড়া বুধবার থেকে ফের নতুন নিবন্ধিতদের এসএমএস প্রদান শুরু হবে। তবে এই সময়ে সিনোফার্মের ২য় ডোজ চলমান আছে এবং থাকবে।
সিসিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার পর্যন্ত নগরীতে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় রয়েছেন ৯৭ হাজার ১৪৯ জন। তবে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ১৪ হাজার ১০৩ জন মানুষ দ্বিতীয় ডোজের টিকা সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া নগরে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩ লাখ ১১ হাজার ২৫২ জন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে চলা গণটিকা ক্যাম্পেইনে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ টিকার ১ম ডোজ নিয়েছেন। তারা দ্বিতীয় ডোজ নিলে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহীতার সংখ্যা আরো বাড়বে।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: জাহিদুল ইসলাম বলেন, নগরীতে নতুন পুরাতন মিলে প্রায় ২০ হাজারের মতো নিবন্ধিত ১ম ডোজের অপেক্ষায় রয়েছেন। এর মধ্যে ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষকে ইতোমধ্যে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। আগে সিনোফার্মের টিকা চালু থাকায় অনেকেই টিকা নেয়া থেকে বিরত রয়েছেন বলে আমরা খবর পেয়েছি। ফলে নিবন্ধিতদের জট দিনদিন বাড়ছে। তবে আমরা শনিবার থেকে নতুন এসএমএস দেয়া বন্ধ করে পূর্বের এসএমএস প্রাপ্তদের ফাইজারের টিকা দেয়া শুরু করেছি। আমরা আশাবাদী এভাবে ৪/৫ দিন চললে নিবন্ধিত ও এসএমএস প্রাপ্তদের জট কমতে থাকবে। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১২ টি বুথে ফাইজারের প্রথম ডোজ দেয়া হচ্ছে। আমরা প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার মানুষকে টিকা নেয়ার জন্য ম্যাসেজ দিচ্ছি। এসএমএস পেয়েও অনেকেই সময় মতো টিকা দিতে আসেনা। আর পরবর্তীতে যখন আসেন অনেক লোক এক সাথে আসেন। যার জন্য টিকা কেন্দ্রের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের বেগ পেতে হয়।