অসময়ের বৃষ্টিতে ভোগান্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:৩০:৫৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সিলেটে সোমবার থেমে থেমে দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আকাশ মেঘে ঢেকে যাওয়ায় একটি মুহূর্তেও জন্যও সূর্যের দেখা মেলেনি। অসময়ের এ বৃষ্টিতে নগরীতে ভাসমান ও স্বল্প আয়ের মানুষেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন
অগ্রহায়নের বৃষ্টি ভোগান্তির কারণ হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরও। সকালে পদার্থবিদ্যা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিতে বৃষ্টি মাথায় করে ছুটেছেন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। পরীক্ষা শেষেও ছিল বৃষ্টির দাপট।
এক পরীক্ষার্থী বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তায় গাড়ি পেতে বেশি সময় লেগেছে। দিনের বেলাতেও পরীক্ষার হলে বাতি জ্বেলে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, এমন বৃষ্টি আজ মঙ্গলবারও চলতে পারে। তবে কমবে রাতের তাপমাত্রা।
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমায় কাল নগরে মানুষের আনাগোনাও অনেকটা কম ছিলো। অটোরিকশাচালক সুজন মিয়া সকালেই বের হয়েছেন। তিনি বলেন, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে মানুষ বের হয়েছে কম। এ কারণে তিনি ভাড়া কম পেয়েছেন। রিপন বলেন, শীত লাগার আশঙ্কায় তিনি গরম কাপড় পরেছেন।
নগরের ক্বিন ব্রিজ এলাকায় সকাল থেকে নিম্ন আয়ের মানুষকে কাজের খোঁজে বসে থাকতে দেখা গেছে। এক শ্রমিক সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বসে ছিলেন। তিনি বলেন, অনেকেই কাজ না পেয়ে চলে গেছেন। বৃষ্টি-বাদলের দিনে কাজের সুযোগ কম থাকে। তারপরও যদি কাজ পাওয়া যায়, সে আশায় তিনি বসে আছেন।
এদিকে, কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন এই বৃষ্টিতে অল্প কিছু ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বীজ রাখার সমস্যা হবে। খড়েরও কিছু ক্ষতি হবে। তবে রবি শস্য যা ইতোমধ্যে লাগানো হয়েছে এই বৃষ্টিতে সেগুলোর উপকার হবে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রোববার গভীর রাত থেকে থেমে থেমে সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সিলেট নগরে ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং সোমবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৫ মিলিমিটিার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গতকাল সিলেট নগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।