সিলেটের ৩ মেগা প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৫৮:০৫ অপরাহ্ন
সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প
ফেঞ্চুগঞ্জে নতুন ইউরিয়া সারকারখানা ফরমালটি হাইট প্ল্যান্ট স্থাপন
সুনামগঞ্জে শিল্প কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন
সিলেটের পতিত জমির ব্যবহার নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
জালালাবাদ রিপোর্ট : সিলেটের তিন মেগা প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। এরমাঝে রয়েছে ২০০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, ৭২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ফেঞ্চুগঞ্জে নতুন ইউরিয়া সারকারখানা ফরমালটি হাইট প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্প এবং দক্ষ জনবল সৃষ্টি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে সুনামগঞ্জে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
গণভবন থেকে ভিডিওকলে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ একনেকের বাকি সদস্যরা ছিলেন রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে।
একনেক সভায় সিলেট অঞ্চলের পতিত জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে বিষয়টি তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত। সিলেট অঞ্চলে নানা কারণে অনেক জমি পতিত পড়ে আছে, কোনো ব্যবহার হয় না। জমিগুলো যেন ব্যবহার হয় সেজন্য আমি সিলেটবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় জানিয়ে দেবো।
এদিকে, সিলেটের এসব প্রকল্প ছাড়াও আরো ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৬২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে তিন হাজার ৫৫ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে এক হাজার ৫৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে নেত্রকোনা-বিশিউড়া-ঈশ্বরগঞ্জ সড়ক প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২২০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। শেখ হাসিনা সেনানিবাস বরিশাল স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩১ কোটি ১০ লাখ টাকা। ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি আট লাখ টাকা। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুরের অ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে তিন কোটি দুই লাখ টাকা। ফ্লাড অ্যান্ড রিভারব্যাংক ইরিশন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রগ্রাম প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৮০৩ কোটি সাত লাখ টাকা।
ফেঞ্চুগঞ্জে ইউরিয়া ফরমাল ডিহাইড-৮৫ (ইউএফ-৮৫) প্লান্ট স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এছাড়া গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, রংপুর, জামালপুর এবং যশোর জেলায় বিটাকের ছয়টি কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১৩২ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এদিকে, ফেঞ্চুগঞ্জে নতুন ইউরিয়া সারকারখানা ফরমালটি হাইট প্ল্যান্ট স্থাপন একনেকে অনুমোদিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সিলেট-৩ আসনের এমটি হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম ফেঞ্চুগঞ্জে নতুন ইউরিয়া সারকারখানা ফরমালটি হাইট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। আশা করি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিলেট-৩ সমৃদ্ধির পথে আরো এগিয়ে যাবে।