ওমিক্রন প্রতিরোধে নতুন গাইডলাইন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ৯:৩৭:১১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : ওমিক্রন রোধে নতুন ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালসহ সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোয় ইতোমধ্যে এ গাইডলাইন পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। এদিকে গতকাল ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৭৩ জন। এ সময়ে ১৫ হাজার ৫২৭ জনের শরীরে রোগটি শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ছিল ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য বুলেটিনে গতকাল অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশেও ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই ওমিক্রনের কারণেই দেশে সংক্রমণ এতটা বেড়েছে। ওমিক্রন রোধে ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন ইতোমধ্যেই তৈরি এবং চূড়ান্তও হয়ে গেছে। আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই যেসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালগুলো আছে সবগুলোয় গাইডলাইনটি পাঠানো হয়েছে। ওমিক্রন নিয়ে নতুন নতুন যেসব তথ্য রয়েছে, সেগুলোর আলোকেই গাইড লাইনটি সাজানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই হলো করোনা সংক্রমণ রোধের বিজ্ঞানভিত্তিক সঠিক পন্থা। এ জন্য আমাদের সঠিকভাবে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে ও টিকা নিতে হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকার সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই টিকার সংকট নেই। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকা আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের কাছে যদি চাহিদা পাঠিয়ে দেওয়া হয়, আমরা সে অনুযায়ী টিকা পাঠিয়ে দেব। আমাদের টিকার কোনো সংকট নেই।
দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি তুলে ধরে এ কর্মকর্তা আরও বলেন, গত সাত দিনে বাংলাদেশেও রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। জানুয়ারি মাসের ১৯ তারিখে আমরা নয় হাজার ৫০০ রোগীকে শনাক্ত করেছিলাম, তখন শতকরা হিসেবে শনাক্তের হার ছিল ২৫ শতাংশের কিছুটা বেশি। কিন্তু ২৫ জানুয়ারিয় এসে সেই শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। রোগীর সংখ্যা নয় হাজার থেকে বেড়ে ১৬ হাজারে এসেছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের এ সময়ে আমরা মোট রোগী পেয়েছিলাম ২১ হাজার ৬২৯ জন, কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে এসে এক লাখ ত্রিশ হাজারের বেশি পেয়েছি।