আল বিদা মাহে রমজান
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ এপ্রিল ২০২২, ১২:২১:১৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সময়ের গতিময়তার পথ ধরে একে একে ফুরিয়ে যাচ্ছে রমজান মাস। রহমত মাগফিরাত ও নাজাতের এই পবিত্রতম মাসের বিদায় বেলা চলছে। আর কয়েকদিন পর ঈদুল ফিতর। এখন শুধু হিসাবের পালা। পবিত্র রমজান মাসে কতটি রোজা পরিপূর্ণভাবে হক আদায় করে পালন করতে পেরেছি, আমাদের গোনাহ কী পরিমাণ মাফ করাতে পেরেছি আর কতটুকু তাক্বওয়া অর্জিত হয়েছে আমাদের মধ্যে। এসব হিসেব নিয়ে আত্মসমালোচনা করলেই ফুটে উঠবে পুরো রমজানের কর্মতৎপরতার চিত্র। পবিত্র রমজান পাওয়ার পরও যে ব্যক্তি গোনাহ মাফ করাতে পারেনি তার জন্য দুর্ভাগ্য। হয়তবা এ রমজানই অনেকের জীবনের শেষ রমজান বা শেষ শবে কদর। রমজানের প্রশিক্ষণ কি পরিমাণ গ্রহণ করতে পেরেছি, যা অর্জন করেছি তা দিয়ে কী বাকি ১১টি মাস সুষ্ঠুভাবে অতিবাহিত করতে পারবো? যদি বিবেকের কাছ থেকে সন্তোষজনক উত্তর আসে তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। নচেৎ এখনো সময় আছে রমজানের বাকী দিনগুলোতে রমজানের শিক্ষা গ্রহণ করে উপকৃত হতে পারি।
হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যখন কদরের রাত্রি শুরু হয়, তখন জিব্রাইল (আঃ) ফেরেশতাদের দলসহ দুনিয়াতে অবতীর্ণ হন এবং আল্লাহর এমন সব প্রত্যেক বান্দার জন্য দোয়া করতে থাকেন যারা দাঁড়িয়ে বা বসে আল্লাহর যিকির করতে থাকে। অত:পর যখন বান্দাদের ঈদের দিন উপস্থিত হয় তখন আল্লাহ তাদের ব্যাপারে ফেরেশতাদের নিকট গৌরব প্রকাশ করেন এবং বলেন, হে আমার ফেরেশতাগণ, বল দেখি সেই প্রেমিক প্রেমিকাদের কি প্রতিদান হতে পারে যে আপন কাজ সম্পন্ন করেছে? উত্তরে তারা বলেন, হে পরোয়ারদেগার, তার পারিশ্রমিক পুরোপুরিভাবে দেয়াই হচ্ছে তার প্রতিদান। তখন আল্লাহ বলেন, হে আমার ফেরেশতাগণ, আমার বান্দাহ ও বান্দীগণ যারা তাদের উপর অর্পিত ফরয যথাযথভাবে পালন করেছে অত:পর সে (নিজের ঘর হতে ঈদগাহের দিকে) উচ্চ স্বরে দোয়া করতে করতে বের হয়েছে, আমার ইজ্জত ও সম্মানের কসম, আমি নিশ্চয়ই তাদের দোয়া কবুল করবো। তারপর তিনি বলেন, যাও (হে আমার বান্দাগণ) আমি নিশ্চয়ই তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। নবী করীম (সাঃ) বলেন, অতঃপর তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে বাড়ির দিকে ফিরে যায়। (বায়হাকী)।