জাফলংয়ে ফি আদায় বন্ধে ডিসিকে মন্ত্রী ইমরানের চিঠি
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ মে ২০২২, ৮:০৭:৪৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের ‘পাথরকন্যা’ জাফলংয়ে পর্যটকদের কাছ থেকে প্রবেশ ফি আদায়ের জন্য কোন আইনি বিধান জারি করা হয়েছে কি না জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। চিঠিতে সাময়িকভাবে ফি আদায় বন্ধ রাখার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান বরাবরে এই চিঠি দেন মন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
চিঠিতে তিনি মন্ত্রী উল্লেখ করেন, জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটি কর্তৃক পর্যটনস্পট সমূহের প্রবেশ ফি নির্ধারণ, আদায় এবং আদায়কৃত অর্থ ব্যবহার সংক্রান্ত কোনো আইনানুগ বিধান জারি হয়েছে কি না এ বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান বলেন, উনার একটি চিঠি আমি পেয়েছি। চিঠি পাওয়ার আগেই জাফলং থেকে প্রবেশ ফি আদায় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির পরবর্তী বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত ফি আদায় বন্ধ থাকবে।
পর্যটন উন্নয়ন কমিটির পরবর্তী বৈঠক কবে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, এখনো তারিখ নির্ধারণ হয়নি। হলে আপনাদের জানানো হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পর্যটন মন্ত্রণালয় নির্ধারিত কার্যপরিধির বাইরে গিয়ে সিলেটর গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে পর্যটক প্রবেশে ফি নির্ধারণ করে জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটি। মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের বাইরে গিয়ে এভাবে ফি নির্ধারনকে অবৈধ ও এখতিয়ার বর্হিভ‚ত বলছেন আইনবিশেষজ্ঞরাও।
জানা যায়, ২০২০ সালের ৩নভেম্বরর তৎকালীন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির সভায় জাফলংয়ে পর্যটক প্রবেশের জন্য ১০ টাকা হারে প্রবেশ ফি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। তবে ২০২১ সালে ৮ নভেম্বর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব শ্যামলী নবী সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে দেশের জেলাভিত্তিক পর্যটন উন্নয়ন কমিটি পুণর্গঠন করা হয়। পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে পর্যটন উন্নয়ন কমিটির জন্য ১৩টি কার্যপরিধি নির্ধারণ করে দেয়। এই কার্য পরিধির কোথাও প্রবেশ ফি আদায়ের কথা উল্লেখ নেই। তারপরও গতবছর থেকে জাফলংয়ে পর্যটকদের কাছ থেকে প্রবেশ ফি আদায় শুরু হয়।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান জানান, ২০২১ সালে ৮ নভেম্বর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকেই ফি চালু করা হয়েছে। তবে ওই প্রজ্ঞাপন ঘেঁটে দেখা গেছে, কোথাও ফি নির্ধারণ বা আদায়ের কথা উল্লেখ নেই।