সকলের প্রাণখোলা সহযোগিতায় সিলেট নগরীর উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে – বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বারে মতবিনিময়ে মেয়র আরিফ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ মে ২০২২, ৮:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন
এনাম চৌধুরী-লন্ডন থেকে :: যুক্তরাজ্য সফররত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, ব্রিটেন প্রবাসী সিলেটের মানুষ ও সিলেট সিটির নাগরিকদের ভালোবাসা, বিশ্বাস ও ত্যাগের কারণেই আমি উন্নয়নের কাজ করার প্রেরণা পেয়েছি। নগরবাসী আমার প্রাণের মানুষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিলেটের মানুষ কত বড় এবং উদার মানসিকতা পোষণ করে সেটার বিরল উদাহরণ হলো, উন্নয়নের কাজে যখনি আমি সহযোগিতা চেয়েছি তারা হৃদয় উজাড় করে আমাকে সহযোগিতা করেছেন। সিলেটের মানুষ এতো বড় মনের অধিকারী যে, আমি নগরীর রাস্তা স¤প্রসারণ, ড্রেন নির্মাণ, সুন্দর্য্য বর্ধন কিংবা নাগরিক প্রয়োজনে যখনি কোনো জায়গা চেয়েছি তারা কোনো প্রশ্ন ছাড়াই আমাকে সেই সহযোগিতা করেছেন।আর সেটার বিনিময় মূল্য যদি দিতে হতো তবে সেটা টাকার অংকে হতো কয়েকশো হাজার কোটি টাকা।
তিনি গত ১০ মে মঙ্গলবার অপরাহ্নে ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিবিসিসিআই)-এর উদ্যোগে তার সম্মানে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছিলেন।
মেয়র আরিফ নগরবাসী ও প্রবাসীদের কাছে তার কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, উন্নয়নের কাজে আমি সবার মেয়র আরিফ। আমি আমার নগরীর উন্নয়নের প্রশ্নে কোনো দল-মতকে নয় নগরকে এবং নাগরিকদের সবকিছুর ঊর্ধ্বে রেখেছি। তিনি সিলেটের উন্নয়নে মরহুম অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের অবদান উল্লেখ করে বলেন, ভবন কিংবা স্থাপনা থেকে উন্নয়নের প্রাণপুরুষের নাম মুছে ফেললেই একজন সাইফুর রহমানকে জনগণের মন থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। সাইফুর রহমান মানুষের মনে আছেন এবং থাকবেন। আরিফুল হক নগরীর বর্তমান উন্নয়নের তার বিভিন্ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়িত কাজ সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেন, নগরীর এই উন্নয়নে সদ্য মরহুম সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এর সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, নগর উন্নয়নে তারা আমাকে যে সহযোগিতা করেছেন, সেটা প্রেরণাদায়ক।
বিবিসিসিআই‘র সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র উপদেষ্টা প্রফেসর শাহগীর বখত ফারুকের সভাপতিত্বে ও লন্ডন রিজিওন সভাপতি আবুল হায়াত নুরুজ্জামান-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জালালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর, লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ও বিবিসিসিআই‘র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিব চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাহাস পাশা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ওনার্স এসোসিয়েশনের মহাসচিব জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এফবিসিসিআই’র সাবেক ডিরেক্টর হিজকিল গুলজার, ক্যানারী ওয়ার্ফ গ্রæপের ডিরেক্টর ডক্টর জাকির খান।
বক্তব্য রাখেন বিবিসিসিআই‘র ডাইরেক্টর জেনারেল সাইদুর রহমান রেনু, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডক্টর সানাওর চৌধুরী, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর মনির আহমেদ, ডেপুটি ডাইরেক্টর হেলাল খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রোজ ভিউ হোটেলের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন, গ্রান্ড সিলেট ফাইভ ষ্টার হোটেলের চেয়ারম্যান আলী মোহাম্মদ জাকারিয়া, ঢাকা রিজেন্সির সাবেক চেয়ারম্যান মুসলেহ আহমেদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জালালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর সিলেটের উন্নয়নে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, সাইফুর রহমানের হাত ধরে আরিফুল হক চৌধুরী উন্নয়নের যে কাজ শিখেছিলেন সেটার ফসল সিলেট নগরবাসী এখন পাচ্ছে। তিনি আরিফুল হকের উন্নয়ন যাত্রায় প্রবাসীদের আরো সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আরিফ দল-মতের ঊর্ধে কাজ করছেন এবং এই ভালো কাজে তার পাশে থাকা আমাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব। মুকতাবিস-উন-নূর সিলেটের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে সাইফুর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা উল্লেখ করে বলেন, এই কাজ গুলো করা মানে নিজেদের সাথে প্রতারণা করা। তিনি সাইফুর রহমানের নাম সিলেটে একটি ভালো মানের স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণে প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
শাহগির বখত ফারুক বলেন, আরিফুল হক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সিলেটকে বিশ্বের বাংলা ভাষাবাসীদের কাছে এক রোল মডেল। তিনি তার কর্মের ধারা মানুষে হৃদয় জয় করে প্রমাণ করেছেন সিলেটের উন্নয়নে আরিফুল হকের বিকল্প নেই।
মহিব চৌধুরী বলেন, মেয়র আরিফুল হকের প্রতিটি কাজ ইউনিক। তিনি তার নগরের বাসিন্দাদের এমনভাবে সার্ভিস দিচ্ছেন যেটা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সত্যিই অসাধারণ। একজন ব্যক্তি তার কাজের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করতে চাইলে আরিফুল হক হলেন জীবন্ত উদাহরণ।
অনুষ্ঠানে মেয়র আরিফুল হকের হাতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিবিসিসিআই)-এর পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন চেম্বার নেতৃবৃন্দ।