এখনো পানিবন্দি গ্রামের পর গ্রাম, খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির হাহাকার থামছেনা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ মে ২০২২, ২:৪৭:২৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের ১৩ উপজেলা ও সুনামগঞ্জে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো পানির নিচে গ্রামের পর গ্রাম। সেসব এলাকায় মানুষের খাবার ও পানির জন্য হাহাকারও থামছেনা।
স্থানীয় প্রতিনিধিরা জানান, বুধবার সুনামগঞ্জ জেলার হাওর এলাকা সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও দিরাই উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, ঢলের পানিতে এখনও ডুবে আছে ফসলের মাঠ। তলিয়ে আছে গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দি অবস্থায় আছেন অসংখ্য মানুষ। এসব উপদ্রæত এলাকায় এখনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ সিলেট-সুনামগঞ্জ জেলার অনেক ভুক্তভোগীর।
এদিকে, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় এখনো পানিবন্দি লাখো মানুষ। ঘর-বাড়িতে পানি থাকায় এখনো আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে পারেনি অনেক পরিবার। এসব এলাকার মানুষ ত্রাণ সহযোগিতা পর্যাপ্ত পাচ্ছেননা বলেও অভিযোগ করেছেন।
মৌলভীবাজার জেলার সদর ও রাজনগর উপজেলার নদী তীরবর্তী প্রায় ৫০টি গ্রামের প্রায় ১ লাখ মানুষ এখনো বন্যা কবলিত। নদী পাড়ের এসব এলাকার পানিবন্দি দিনমজুর ও মধ্যবিত্তরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে প্রতিনিধি জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্যার পানি ওঠায় এবং আশ্রয়কেন্দ্র খোলার কারণে সিলেটের আট শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন শ্রেণী কার্যক্রমে অংশ নিতে না পারায় সন্তানদের শিক্ষাজীবনে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কায় পড়েছেন অভিভাবকরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমার চেয়ে দশমিক ৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার ওপরে আছে। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।
এদিকে, কুশিয়ারা নদীর পানি বুধবার সকাল ৯টায় অমলশিদ পয়েন্টে বিপদসীমার দশমিক শূন্য ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ১৫ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার। নদীর শেওলা পয়েন্টে বিপদসীমার দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ১৩ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার। শেরপুর পয়েন্টে বিপদসীমার দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। এ ছাড়া সারি নদের পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার।