সুনামগঞ্জে বন্যার পানি নামছে ধীরে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মে ২০২২, ৮:২১:০৮ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের বন্যার পানি ধীরে নামছে। হাওর এখনো পানিতে পরিপূর্র্ণ। খাল বিল ভরাট ও নাব্যতা সংকটে পানি নামছে ধীরে। এছাড়া উজানের (সিলেট জেলার) পানি নামা অব্যাহত থাকায় এমনটি হচ্ছে। ফলে গবাদি পশুসহ নানা ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষক।
স্থানীয়রা বলছেন, নদী খনন না হলে এ অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। অন্যথায় যুগ যুগ ধরে ভোগান্তি পোহাতে হবে হাওরবাসীকে। সুনামগঞ্জে গেল ১০ মে থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। পাহাড়ি ঢল (মেঘালয়- চেরাপুঞ্জির পানি) নামতে শুরু হয় ১৩ মে থেকে। ১৭ মে ডুবে যায় জেলার দোয়ারা, ছাতক ও সুনামগঞ্জ সদরের বেশিরভাগ এলাকা। ২১ মে থেকে রোদের দেখা মিলে। কিন্তু পানি কমছে ধীর গতিতে।
সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে। ঘরেও নেই পানি। নিম্ন এলাকায় বাড়ি ঘরের সামনে এখনও পানি। হাওরে চোখ মেললেই পানি আর পানি। হাওরের কৃষক রফিক মিয়া ভাটিতে নদীর স্রোতের প্রবাহ কম। তাই পানি নামছে ধীরে। সুনামগঞ্জ থেকে ভৈরব পর্যন্ত নদী খনন না করলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (২) শামছুদ্দোহা বললেন, সুনামগঞ্জের পানি নামার তিন পথ আছে। সুরমা-ধনু হয়ে মেঘনায়, সুরমা-কালনী-আবার সুরমা হয়ে মেঘনায় এবং সুরমা থেকে সরাসরি মেঘনায়। আগাম বন্যায় এই তিন পানিপথই ভরাট হয়েছে। খননও সেভাবে হচ্ছে না। নদী খননের জন্য শীঘ্রই একটি সমীক্ষা শুরু হবে। নদী খনন প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে বন্যার পানিও দ্রæত নামবে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (১) মো. জহুরুল ইসলাম বললেন, সিলেটের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো প্লাবিত। এই পানি সুরমা নদী দিয়ে সুনামগঞ্জ হয়ে মেঘনায় নামছে। সিলেটের পানি এদিকে আসায় পানি একটু ধীরে প্রতিদিন দুই সেন্টিমিটার করে কমছে। তার মতে সুরমা নদী খনন করলেই এবারের বন্যার মতো বন্যা ঠেকানো যাবে না।