আতঙ্কে সিলেটের অর্ধশতাধিক অনিবন্ধিত ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মে ২০২২, ১২:১০:২১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : দেশব্যাপী অনিবন্ধিত ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে চলছে জোরালো অভিযান। সোমবার পর্যন্ত সিলেটের ২৬ টি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চালানো হয়েছে অভিযান। বন্ধ করা হয়েছে ১২ টি। একই সাথে ১৪ টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ভোক্তা অধিকার। এমন পরিস্থিতিতে সিলেটের বেসরকারী ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেট নগরী ও জেলা পর্যায়ে ৩৭২ টি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে নগরীতে ৭১ টি হাসপাতাল-ক্লিনিক, ৯৮ টি ডায়গানস্টিক সেন্টার ও ৭ টি ব্লাড ব্যাংক রয়েছে। সিলেটের ১৩ উপজেলায় আছে ১০৩টি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়গানস্টিক সেন্টার। সিলেট জেলা ও মহানগর এলাকায় অর্ধশতাধিক অনিবন্ধিত হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এই তালিকা আরো দীর্ঘ হওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা। কিছু প্রতিষ্ঠানে নেই নিবন্ধন। কিছু প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করে সেই কপিতেই চালিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা কার্যক্রম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে শুক্রবার থেকে সিলেটের জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
জানা গেছে, সোমবার পর্যন্ত সিলেট জেলা ও মহানগরের ২৬টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১২টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। আর ১টি ক্লিনিকের লোকজন অভিযানের খবরে পালিয়ে গেছে। সেটিকে সীলগালা করে দেয়া হয়েছে। বাকী ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে আগামী ১৫ দিনের ভেতরে অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
সিলেটের ডেপুটী সিভিল সার্জন ডা. জন্মে জয় শংকর দত্ত দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, সিলেটে ৩৭২টি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়গানস্টিক সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী অভিযান চলছে। সোমবার পর্যন্ত নগরী ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালানো হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার সিলেটের উপ পরিচালক ফখরুল ইসলাম দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, আমরা সিলেট বিভাগের ৪টি জেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। এছাড়া জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছেন। সেসব অভিযানে ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তাবৃন্দও অংশ নিয়েছেন।