সীতাকুণ্ডের আগুনে নিহত ৪৯
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুন ২০২২, ১২:০৫:৫৮ অপরাহ্ন
*৯ ফায়ার সাভিস কর্মীর মৃত্যু
*কনটেইনারে কী ছিল জানানো হয়নি ফায়ার সার্ভিসকে
জালালাবাদ রিপোর্ট : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৪৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন ২ শতাধিক। রোববার রাতে ১০টা পর্যন্ত আগুন জ্বলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন দুই শতাধিক মানুষ। লাশের সারি আরও দীর্ঘ হতে পারে বলে জানিয়েছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কর্মরত ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
রোববার রাতে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন জানান, আহত অনেকের অবস্থা গুরুতর, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাগা আগুন এখনো জ্বলছে। আগুন নেভাতে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে পুরো ডিপো এলাকা যেন যুদ্ধপরবর্তী ধ্বংসস্তূপ। এখানে-ওখানে ছড়িয়ে-ছটিয়ে রয়েছে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ছোট ছোট কনটেইনার। এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে অনেক পণ্যবোঝাই কনটেইনার। রাতভর ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আগুন নেভানোর যে প্রাণান্তকর চেষ্টা ছিল, তা ডিপো প্রাঙ্গণ দেখে সহজেই বোঝা যাচ্ছিল।
সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আরবান সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিমের প্রধান আরিফুল ইসলাম হিমেল বলেন, সকাল থেকে (রোববার) আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। এখনো পুরোপুরি নেভেনি। কিছু কনটেইনারে এখনো আগুন জ্বলছে। বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এবং ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কো-অর্ডিনেট করে রাসায়নিক ও সাধারণ কনটেইনার আলাদা করার চেষ্টা চলছে। আর যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর যেন কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনীর প্রায় ২০০ জনবল এখানে কাজ করছে।
তিনি বলেন, রাসায়নিক পদার্থ যেগুলো বের হয়ে গেছে, তা বন্ধ করার চেষ্টা করছি। যাতে পরিস্থিতি আর খারাপ না হয়। কিছু সময় দিতে হবে।
জানা গেছে, শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে ইউনিট আরও বাড়ানো হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের ১৮৩ কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপো ২৪ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি মূলত পণ্য রপ্তানিতে কাজ করে। এখান থেকে পণ্য রপ্তানির জন্য কনটেইনারগুলো প্রস্তুত করে চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়। ৩৮ ধরনের পণ্য রপ্তানিতে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। ঘটনার সময় সেখানে ৫০ হাজার কনটেইনার ছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় অন্তত ২০০ শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন বলেও জানা গেছে। তবে সেখানে ঠিক কত সংখ্যক মানুষ তখন ছিলেন তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন: সীতাকুণ্ডের বেসরকারি বিএম কন্টেইনার ডিপোর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর। রোববার গঠিত এই তদন্ত কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিমকে। সদস্য সচিব করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালককে।
এছাড়াও কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে, ঢাকার মিরপুরের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সের (টিসি) উপাধ্যক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম জোন-১ এর উপ সহকারী পরিচালক, ট্রেনিং কমপ্লেক্সের (টিসি) প্রশিক্ষক শামস আরমান, সাভার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ইপিজেডের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জহিরুল ইসলাম এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম-৪৯ ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর ওমর ফারুক ভূঁইয়া।
কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদ্ঘাটন, ক্ষতিগ্রস্থ সম্পদের বিবরণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, ক্ষতিগ্রস্থ সম্পদের স্থিরচিত্র ও অন্যান্য ব্যবস্থাদিসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো অনুসন্ধান করে ৫ কার্যদিবসের সাথে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের এক অফিস আদেশে যেসব বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে থাকতে হবে, সেসব বিষয়ে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে স্থিরচিত্র, কারণ উল্লেখ, ভিডিও, নকশা থাকতে হবে। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসের প্রত্যায়নপত্র নিতে হবে, স্থানীয় থানা থেকে ‘মামলা নেই’ মর্মে প্রত্যায়ন গ্রহণ করতে হবে। আগেও এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে কিনা, তার তথ্যও প্রতিবেদনে থাকতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ডিপো’র কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল কিনা তাও উল্লেখ করতে হবে। এছাড়াও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভবন নির্মাণের ছাড়পত্র আছে কিনা তার প্রত্যয়ন ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর হতে ফায়ার সেফটি প্ল্যান গ্রহণ করেছে কিনা-এর প্রত্যয়ন গ্রহণ করতে হবে বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীর মৃত্যু : সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ১৫ জন অসুস্থ ও আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর দুজনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। রোববার রাতে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে বলা হয়েছে, শনিবার (৪ জুন) দিবাগত রাত ৯টা ২৫ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের এ সংবাদ পায় তারা। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম ও আশপাশের সব ফায়ার স্টেশন দুর্ঘটনায় অংশগ্রহণ করে। দুর্ঘটনার একপর্যায়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটলে ফার্স্টলাইনে কাজ করা কর্মীরা গুরুতর আহত হন। এরমধ্যে ৯ জন কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
সবশেষ খবরে জানা যায়, সিতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে কাজ করতে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ২০ জনের বিশেষ হ্যাজমট টিম চট্টগ্রামে গেছে। হ্যাজমট (হ্যাজারডাস মেটারিয়াল) টিমের এসব সদস্য দেশে-বিদেশে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত।
কনটেইনারে কী ছিল জানানো হয়নি ফায়ার সার্ভিসকে: সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর কনটেইনারে কী ধরনের জিনিস ছিল এ বিষয়ে তথ্য না থাকাতেই প্রাণহানি বেশি ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এক্ষেত্রে ডিপো কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কথা উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন লাগার পর কনটেইনারে থাকা বস্তু সম্পর্কে কোনও তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষ জানায়নি। যে কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে তীব্রতা আরও ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুনের ধরন অনুযায়ী প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আগুন নেভাতে গিয়ে ভবন মালিক কিংবা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায় না। যে কারণে প্রাথমিকভাবে ধারণাও পাওয়া যায় না। তারপরও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জীবন বাজি রেখে কর্তব্য পালন করে যান।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, শুধু রাসায়নিক থেকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রায় তিন শতাধিক দক্ষ প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছে। এ ধরনের আগুন নেভাতে আছে আলাদা কেমিক্যালও।
সীতাকুণ্ডের আগুন নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বলেন, বিএম কনটেইনারে লাগা আগুনকে প্রথমে সাধারণ আগুন মনে করা হয়েছিল। কর্মীরা কাজ শুরুর আগ পর্যন্ত জানতে পারেননি ভেতরে কী আছে। আগুন নেভানোর সময় কর্তৃপক্ষের কাউকেও পাওয়া যায়নি। যে কারণে কর্মীরা বেশি ঝুঁকিতে পড়ে গিয়েছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত সদস্য রয়েছে ফায়ার সার্ভিসে। কেমিক্যালের আগুনে প্রশিক্ষিত সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। যেকোনও ধরনের আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দক্ষতা রয়েছে। তবে আগুন লাগার সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের অবহিত করেন ভেতরে কী ধরনের বস্তু রয়েছে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে পারি। তা না হলে আমাদের বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স-এর ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা বলেন, কেমিক্যালের জন্য স্পেশাল ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করতে হয়। পুরান ঢাকার ক্ষেত্রেও আমরা প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারিনি সেখানে কী ধরনের দাহ্যবস্তু ছিল। আমাদের জানানো হয়নি। যদি রাসায়নিক থেকে আগুন লাগে তবে সেটা বিবেচনায় নিয়েই কাজ করতে হয়।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতের পরিবার পাবে ২ লাখ, আহতরা ৫০ হাজার টাকা: সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনারের ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ টাকা এবং প্রত্যেক আহতকে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেবে সরকার। রোববার (৫ জুন) শ্রমমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে এ অর্থ সহায়তা দেবে শ্রম মন্ত্রণালয়। তবে আহতদের চিকিৎসায় প্রয়োজনে আরও অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের উপমহাপরিদর্শককে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসা দেখভালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের রুহের মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার (৫ জুন) চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
অন্যদিকে, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল : সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায় কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২ শতাধিক আহত ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। আহতদের চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী এ কথা জানিয়েছেন। তিনি চিকিৎসকদের দ্রুত হাসপাতালে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।