হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন বাড়ায় কমেছে রেমিট্যান্স
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুন ২০২২, ৯:৫৪:০৩ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : বিপুলসংখ্যক প্রবাসীকর্মী হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোয় চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের মে পর্যন্ত দেশে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১৯ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে যা ছিল ২২ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এই ১১ মাসে রেমিট্যান্স ৩ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার কমেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় টাকা পাঠানোর অবৈধ চ্যানেল হুন্ডি কার্যক্রম আবারও স্বাভাবিক হওয়ায় প্রবাসীকর্মীরা এর মাধ্যমেই টাকা পাঠাচ্ছেন। এ ছাড়াও, ডলারের বিপরীতে টাকার দর বাড়াও এর অন্যতম একটি কারণ।
মহামারিতে কাজ হারানো অনেক প্রবাসীকর্মী তাদের সব সঞ্চয় নিয়ে দেশে ফিরে আসায় ২০২০-২১ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স বেড়েছে বলেও তারা বলেন।
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ লাখ ৮ হাজার প্রবাসীকর্মী দেশে ফিরেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসেছে ১৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার।
২০২১-২২ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রেমিট্যান্স সবচেয়ে বেশি কমেছে সৌদি আরব থেকে, যেখানে রয়েছে ২২ লাখ বাংলাদেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। অথচ এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।
রেমিট্যান্স কম আসার তালিকায় দ্বিতীয়তে রয়েছে মালয়েশিয়া। ২০২১-২২ অর্থবছরের ১০ মাসে দেশটি থেকে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৮৪৯ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।
একই সময়ের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত, কাতার ও যুক্তরাজ্য থেকে আসা রেমিট্যান্সের প্রবাহও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।