জৈন্তাপুরে পানিবন্দি হাজারো মানুষ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুন ২০২২, ৮:০৬:৩৭ অপরাহ্ন
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :
জৈন্তাপুরে আবারো বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। নদনদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলা সদরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট পানির নিচে, যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নিম্নাঞ্চলের মানুষ গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে ছুটছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সারী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে .২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট এবং কানাইঘাটসহ পুরো সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। প্রাণহানিসহ হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গেলো মাসের বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো প্রবল বন্যার মুখোমুখি হতে হলো জৈন্তাপুরবাসীকে। ১৪ জুন মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। গভীর রাত থেকে বড়গাং ও সারী নদীর পানি বাড়তে থাকে। ১৫ জুন বুধবার ভোর থেকে সবকটি নদীর পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায় এবং নদী সংলগ্ন পাড়া, মহল্লা ও গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
নিজপাট ইউনিয়নের জাঙ্গালহাটি, ময়নাহাটি, মাজরটিলা, বন্দরহাটি, মেগলি, তিলকইপাড়া, গোয়াবাড়ী, হর্ণি, বাইরাখেল, কালঞ্জি, ময়না, নয়াবাড়ী, মাজরবিল। জৈন্তাপুর ইউনিয়নের লামনীগ্রাম, মোয়াখাই, মুক্তাপুর, গড়ের পাড়, কাটাখাল, মল্লিফৌদ, খারুবিল, ভিত্রিখেল, বিড়াখাই, হাটিগ্রাম, গাতিগ্রাম, বাওন হাওড়, ডুলটিরপাড়, শেওলারটুক, আমবাড়ী, লক্ষীপুর, চাতলার পাড়, কেন্দ্রীসহ প্রায় বেশিরভাগ গ্রামের শত শত পরিবার এখন পানিবন্দি। বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীন।