জৈন্তাপুরে বাড়ছে নদীর পানি সর্বত্র অসহায় মানুষের আহাজারী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুন ২০২২, ৭:১০:৪৪ অপরাহ্ন
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি : মেঘালয়ের ভারি বর্ষণ আর আসাম রাজ্যের প্রবল বন্যার প্রভাবে বিপর্যস্ত সিলেট অঞ্চল। দ্বিতীয়বারের মত সিলেটের সবকটি নদ-নদীর পানি দ্রæত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারি বর্ষন অব্যাহত রয়েছে, ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে বন্যা। নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় গৃহবন্দি মানুষ অনাহারে-অর্ধহারে দিনাতিপাত করছে। হাট-বাজার থেকে শুরু করে উপজেলা সদরের সাথে সকল গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হুমকীর মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ, শংকিত মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছে। নৌকা থাকা সত্তে¡ও স্্েরাতের ভয়ে আটকা পড়া মানুষকে উদ্ধার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ১৫ জুন সকাল থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিকাল ৫টার পর থেকে কমতে থাকে। রাতভর টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নদীগুলো উত্তাল হয়ে উঠে। এখন পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতির অবনতি বলা চলে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে সারী নদীর পানি বিপদসীমার .২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো কোথাও কোন প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পানিবান্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন জেলা জামায়াতের আমীর আনোয়ার হোসেন খান ও জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীন। অন্যদিকে একটি সূত্রে জানা গেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জৈন্তাপুর উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ৩ হাজার ব্যাগ শুকনো খাবারের জন্য চিঠি প্রেরণ করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে। এছাড়া জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছে জৈন্তাপুরের একজন ব্যক্তি শুকনো খাবার বিতরণের জন্য ২ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিতরণের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।