বড়লেখায় টাকা আত্মসাত মামলায় আসামির ৫ বছরের কারাদণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুন ২০২২, ৭:২০:৩১ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখায় কাতার প্রবাসীর ২৮ লাখ টাকা প্রতারণা মামলার রায়ে অপর কাতার প্রবাসী কাশেম উদ্দিনকে আদালত ৪২০ ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৪০৬ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন। বুধবার জনাকীর্ণ আদালতে রায় ঘোষণা করেন বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক। দন্ডিত আসামি কাশেম উদ্দিন উপজেলার আরেঙ্গাবাদ গ্রামের মৃত মশিউর উদ্দিন ওরফে তোতার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর উপজেলার আরেঙ্গাবাদ গ্রামের তাজ উদ্দিন আহমদের ছেলে কাতার প্রবাসী মুসলেহ উদ্দিন বাড়িতে পাঠানোর জন্য প্রতিবেশি কাতার প্রবাসী কাশেম উদ্দিনকে ৫০ হাজার কাতারি রিয়াল প্রদান করেন। এসময় কাশেম উদ্দিন জানায় আরো ৭০ হাজার রিয়ালসহ ১ লাখ ২০ হাজার রিয়াল তাকে দিলে সে মাত্র দুইদিনের জন্য টাকাগুলো তার ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখবে। এতে তার (কাশেম) দোকানের বন্ধ থাকা লাইসেন্স চালু করতে পারবে। এরপরই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সে তা পরিশোধ করে ফেলবে। কাশেমের উপকারের কথা চিন্তা করে ব্যবসায়ি মুসলেহ উদ্দিন সরল বিশ্বাসে তাকে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ টাকার সমমানের রিয়াল প্রদান করেন। দুইদিন পর কাশেম উদ্দিনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে মুসলেহ উদ্দিন তাকে পাননি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সে টাকা নিয়ে দেশে চলে গেছে। তিনিও দেশে এসে টাকার তাগদা করেন। বিচার সালিশ করেও টাকা আদায়ে ব্যর্থ হন। পরে ভুক্তভোগী প্রবাসী মুসলেহ উদ্দিন গত বছরের ১৫ ফেব্রæয়ারি কাশেমের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারি মো. ইকরাম হোসেন এ সংক্রান্ত মামলার রায়ে আসামি কাশেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বাদির আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত পৃথক ধারায় ৫ বছরের ও ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং অর্থদন্ডের রায় ঘোষিত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।