কোম্পানীগঞ্জে বানভাসী মানুষের আর্তনাদ, আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষের ঠাঁই হচ্ছে না
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুন ২০২২, ৬:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে গেছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রায় শতভাগ এলাকা। বন্যার পানি এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যা কোম্পানীগঞ্জের অতীত রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বিভিন্ন এলাকায় খবর নিয়ে জানা গেছে নৌকার অভাবে মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে পারছে না। উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় কোন ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন না মানুষ। সকাল থেকে ইউএনও’র ব্যবহৃত সরকারি মুঠো ফোন বন্ধ রয়েছে। অনেক মানুষ বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদের মধ্যে ঢালারপাড় স্কুলের সামনের একটি বাড়ির ছাদের উপর ২০-২৫ জন মানুষ আটকে থাকার খবর পাওয়া গেছে। তারা বৃহস্পতিবার রাত থেকে সেখানে আটকে আছে। এদিকে বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে শুক্রবার দুপুরের পর সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনাহারে রয়েছে বানভাসী মানুষ। অনেকেই ২-৩ দিন থেকে না খেয়ে থাকার কথা বলছেন।
এদিকে, আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষের সংকুলান হচ্ছে না। উপজেলার উঁচু বিল্ডিংগুলোতে ব্যক্তি উদ্যোগে চালু করা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। সরকারিভাবে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার ভোলাগঞ্জ আরাবিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা, পাড়ুয়া আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ও স্কুলগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে চালু করা হয়েছে। এ ছাড়াও দয়ারবাজার, পাড়ুয়া সাকেরা এলাকায়ও ব্যক্তি উদ্যোগে চালু হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এগুলোতে খাবার যোগান দিচ্ছেন। তারা সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী বৃদ্ধি করার আহবান জানান।