এই মুহুর্তে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি বিদ্যুৎ স্টেশন রক্ষার কাজকে : মেয়র
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুন ২০২২, ৬:৫৬:৩৯ অপরাহ্ন
সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ স্টেশন এলাকা বন্যাকবলিত হওয়া ঠেকাতে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি অবলোকন করে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণে সিলেট জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেন। শুক্রবার সকাল থেকে সেখানে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ চলছে।
কুমারগাঁও বিদ্যুৎ স্টেশন থেকে ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এখানে সরবরাহ বন্ধ হলে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট দেখা দেবে। পাশাপাশি সিলেট অঞ্চল পুরোটা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ার শংকা দেখা দেবে। ইতিমধ্যে একাংশ বন্যাকবলিত হওয়ায় সিলেট নগরীর একাংশ ও সুনামগঞ্জ জেলা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় পড়েছে।
বিদ্যুৎ স্টেশনে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যে সকল যন্ত্রপাতি রয়েছে, সেগুলো বন্যাকবলিত হয়ে পড়লে পুনরায় মেরামত সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ জন্য কোনোভাবে যেন পানি না ঢোকে সেই ব্যবস্থা করার কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে সিসিক মেয়র বলেন, এই মুহুর্তে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি কুমারগাও বিদ্যুৎ স্টেশনকে। আর ৫/৬ ইঞ্চি পানি বাড়লে এই কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন না হলে গোটা সিলেট বিভাগের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটি হলে কার্যত সিলেট বন্যার ক্ষতির পাশাপাশি বড় ধরণের সংকটে পড়বে।
মেয়র বলেন, গত রাত থেকে এই সংকট মোকাবিলায় আমি প্রশাসনের সকল বিভাগ ও শাখার সহযোগিতা চেয়েছি। সিটি কর্পোরেশনের, জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহীনি কুমারগাও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্যার কবল থেকে বাঁচাতে কাজ শুরু করেছে। এখানে আমার সাথে সিলেটের জেলা প্রশাসক, সেনা কর্মকর্তাসহ সকল দপ্তর সংস্থার কর্তারা আছেন। আমরা বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ও মাটি দিয়ে সুরমা নদীর পানি যাতে কেন্দ্রে না ঢুকতে পারে তার জন্য অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছি।সিসিক মেয়র জানান, বাঁধ নির্মাণ হলেই সিসিকের সাকার মেশিন দিয়ে কুমারগাও স্টেশনের ভিতরের পানি নিস্কাশনের কাজ শুরু করবো। আশা করছি সকলে সহযোগিতায় সিলেটের বিদ্যুৎ সরকরাহ স্বাভাবিক রাখতে পারলে বড় ধরনের সংকট থেকে রক্ষা পাবো।