ওসমানীনগরের তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জুন ২০২২, ৯:০৩:০৯ অপরাহ্ন
মোঃ মুহিব হাসান, ওসমানীনগর : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল এবং অবিরাম বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার প্রায় সবকটি গ্রাম। উপজেলার ৮ ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের মানুষের বসতঘরে উঠেছে বানের পানি। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, কবরস্থান রয়েছে পানির নিচে। উপজেলা সদরের সাথে সংযুক্ত সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেলে নৌকাই এখন একমাত্র চলার বাহন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়া অসহায় মানুষের জন্য ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। উপজেলার অসহায় গরীব মানুষের জন্য রোববার নগদ ১ লক্ষ টাকা এবং ৮ মেট্রিকটন চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত বিশ্ননাথ-রাখালগঞ্জ বাজার-ভাড়েরা তাজপুর সড়ক, সৎপুর-ষাইটদা-কাদীপুর-তাজপুর সড়ক, খাদিমপুর-মান্দারুকা-চরইসবপুর-তাজপুর সড়ক, রংগীয়-দুরাজপুর-তাজপুর সড়ক, হস্তিদূর-হরিনগর-কাশিপাড়া-যিয়াফক-তাজপুর সড়ক, বুরুঙ্গা ইউনিয়নের বুরুঙ্গা-ঊনিশমাইল সড়ক, বুরুঙ্গা ইউনিয়নের গ্রামের ভিতরের সবকটি রাস্তা, সাদীপুর ইউনিয়নের কালনীরচর-বাংলাবাজার-চাতলপাড়-নুরপুর, বেগমপুর সড়ক, হলিমপুর-ঊনিশমাইল সড়ক, পঞ্চগ্রাম-ভেড়ারচর বাজার-সুন্দিখলা-সাদীপুর সড়ক, উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর নিউ মাকেংট-উমরপুর-গোয়ালাবাজার সড়ক, সিকন্দরপুর-তেরহাতি-গোয়ালাবাজার সড়ক, গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের করনসী রোডসহ গ্রামের ভিতরে অধিকাংশ রাস্তা, দয়ামীর ইউনিয়নের বড় ধিরারাই-নতুনবাজার-কুরুয়া সড়ক, সরিষপুর- দৌলতপুর সড়ক, উছমানপুর ইউনিয়নের বালাগঞ্জ-তাজপুর সড়কের পীরবাজার নামক স্থানে এবং লামাপাড়া-থানাগাঁও বাজার-দয়ামীর বাজার সড়কের কিছু কিছু স্থানে হাঁটু ও উরু পানি রয়েছে। রাস্তায় পানি থাকার কারণে উপজেলার ব্যস্ততম বিপণী কেন্দ্র গোয়ালাবাজারে উমরপুর থেকে আসতে লোকজন নৌকা ব্যহার করছেন।
উপজেলার ৮ ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের বসত বাড়িতে পানি উঠার কারণে লোকজন অসহায় হয়ে পড়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রোববার সকাল পর্যন্ত ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। নি¤œাঞ্চল এর বাড়িঘর প্লাবিত হওয়ার কারণে লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পরিবারের লোকজন নিয়ে এসেছেন। ৮ ইউনিয়নের প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। বাদ পড়েনি মসজিদ মক্তব ধর্মীয় উপাসনালয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা বলেন, বানভাসি মানুষের জন্য প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে ২৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। উপজেলার অসহায় মানুষকে দিতে নগদ ১লক্ষ টাকা এবং ৮ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।