রেকর্ড ভঙ্গকারী ভয়াবহ বন্যায় সরকার ও জনগণের করণীয়
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুন ২০২২, ৩:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন
-:: ফারুক বিন মদরিছ ::-
বিগত ১৫০ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে একমাসের মধ্যে দু’বার ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। বর্তমানে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগণ নিরাপদ আশ্রয়, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে প্রাণহানি ও মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে। এমতাবস্থায় বন্যার কারণ, ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও করণীয় বিষয়ের চিন্তা পরিত্যাগ করে জনগণের জানমাল রক্ষায় কাল বিলম্ব না করে দেশবাসীকে উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত।
নদী ও পানি বিশেষজ্ঞ ড: আইনুন নিশাত বলেছেন সরকারের সকল প্রস্তুতি আছে,তবে কার্যক্রম পরিচালনা করা মূল বিষয়। অবিলম্বে নিম্নলিখিত কাজ করা প্রয়োজন।
(১) ক্ষতিগ্রস্হ ছাড়া সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীকে যোগাযোগ, উদ্ধার ও সমন্বয়ের কাজে নিয়োজিত করা।
(২) প্রয়োজন অনুযায়ী সকল ধরণের নৌকা ও নৌযান অধিগ্রহণ করা।
৩).বিকল্প পন্থায় মোবাইল ফোন চার্জের ব্যবস্থা করা।
৪) নদী ও পানির উচ্চতা অনুসারে ইঞ্জিন চালিত নৌকা,লঞ্চ,স্টীমার বন্যা দুর্গতদের থাকা খাবারের জন্য উপযুক্ত স্হানে নোঙর করা।প্রয়োজনে এগুলো অন্য এলাকা থেকে নিয়ে আসা।নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের নৌযান ও স্পিডবোট এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।(৫)স্বাভাবিক সময় নির্বাচনের সময় পার্বত্য এলাকায় বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার নিয়োগ করা হয়।করোনায় আক্রান্ত রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার দিয়ে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।
(৬) বিমান বাহিনী ও বেসরকারী হেলিকপ্টার দিয়ে প্রত্যেক ইউনিয়নের একটি উঁচু জায়গায় অথবা ভবনের ছাদে,পানি শুকনো খাবার,পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন,মোমবাতি ম্যাচলাইট,হারিকেন গামছা,২/৩ গজ আকারের পলিথিন,তাঁবু ইত্যাদি সরবরাহ করা।
৭) ইউনিয়ন ভিত্তিক সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে ভ্রাম্যমান মেডিকেল টীম গঠন করে চিকিৎসা প্রদান এবং নৌযানে প্রসূতি মায়ের সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করা। জনগণ ছাড়া ও প্রতিটি ইউনিয়নে দফাদার মহল্লাদার তথা গ্রাম পুলিশ,ব্লক সুপারভাইজার,স্বাস্থ্য কর্মী,ইউপি চেয়ারম্যান সদস্য,শিক্ষক ও ডাক্তার সহ অনেক জনবল রয়েছে।সুষ্ঠু সমন্বয় ও পরস্পর সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা করা হলে দূর্গত মানুষের দুর্দশা লাগব/ হ্রাস করা সম্ভব।একবার আগাম বন্যার পর ও প্রস্তুতি গ্রহণ না করা দুর্ভাগ্যজনক।
সুনামগঞ্জ ও ছাতকে এখনও হাজার হাজার বারকী নৌকা রয়েছে। জেলা প্রশাসন, বিজেবি ও অন্যান্য সংস্থার স্পীড থাকা সত্ত্বেও নিজের প্রয়োজনে ও প্রস্তুত না রাখা দুঃখজনক। যাক গতস্য সূচনা নাস্তি। আশা করি সরকার সমাজসেবী ও স্বেচ্ছাসেবীগণ আরো উন্নত পদ্ধতিতে ও ত্বড়িৎ গতিতে উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা করেবেন।