ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুন ২০২২, ১০:০০:২৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বন্যার কারণে সিলেটে শুরু হওয়া ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যবিভাগ। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বন্যা পরবর্তী আরো ১৫ দিন ক্যাম্পেইন পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, সম্প্রতি সিসিক নগরীর ৬ থেকে ১১ মাস এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৮৩ হাজার ৯৬৩ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ভিটামিন খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। কিন্তু চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়নি। তাই বন্যা পরবর্তী আরও ১৫ দিন নগরীর ইপিআই সেন্টারগুলোতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করে সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যার কারণে আমাদের অনেক কেন্দ্রে পানি উঠে গেছে তাই ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বন্যা পরবর্তী আরও ১৫দিন আমাদের রুটিন মাফিক ইপিআই সেন্টারগুলোতে এই ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখবো। তা ছাড়া যে কেউ চাইলে সিলেট সিটি করপোরেশন বা বিনোদিনী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে গেলে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবেন।
এর আগে গত বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে সিসিকে বর্ধিত এলাকা খাদিমপাড়া ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। গত রোববার (১৯ জুন) এই ক্যাম্পেইন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলমান বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন থেকেই কেন্দ্রগুলোতে কম আসছিলেন মানুষজন।
সিসিক সূত্র জানা যায়, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৯টি ওয়ার্ডের ৩৪৮ টি স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো কথা ছিল। ৩৪৮ টির মধ্যে ছিল সিলেট সিটি করপোরেশনের ২২৩ টি ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, নিয়মিত কেন্দ্র ২০ টি, অস্থায়ী কেন্দ্র ৮২ টি এবং অতিরিক্ত কেন্দ্র ২৩ টি। এ ক্যাম্পেইনে সিসিকের ৬৯৬ জন স্বেচ্ছাসেবী এবং ৩৯ জন সুপারভাইজার কাজ করেন।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল শিশুদের জন্য অনেক জরুরী। তাই সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।