বিয়ানীবাজারে বাড়ছে বন্যার পানি, ত্রাণের জন্য হাহাকার
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জুন ২০২২, ৯:৩৭:১২ অপরাহ্ন
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : বিয়ানীবাজারে বাড়ছে বন্যার পানি। নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে এলাকার পর এলাকা। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে বন্যা দুর্গত মানুষের ব্যাপক ভিড়। তবে আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবীরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেও মিলছেনা সরকারি ত্রাণ। এমন অভিযোগ মানুষের।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে প্রথমে সুরমার পানি কমে গেলেও এখন বাড়ছে কুশিয়ারা ও সুনাই নদীর পানি। তাতে করে লাউতা-মোল্লাপুর, মুড়িয়া, তিলপাড়া ও মাথিউরার বিভিন্ন এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ এখন পানিবন্দি। এছাড়াও বারইগ্রাম-বিয়ানীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে লাউতা, তিলপাড়া ও মুড়িয়ার কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় আশ্রয়কেন্দ্রে বানভাসি মানুষের ভিড় বাড়ছে। তারা বলছেন, একান্ত বাধ্য হয়েই পরিবারের বেশীরভাগ সদস্য আশ্রয় কেন্দ্রে এসে উঠছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে খাবার দাবারের ব্যবস্থা করছেন ইউপি চেয়ারম্যান, তবে সময়ের সাথে সাথে এগিয়ে আসছেন স্থানীয় বিত্তবান এবং স্বেচ্ছাসেবীরা। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা বানভাসিদের অভিযোগ সরকারি ত্রাণ মিলছেনা।
মুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আল মামুন জানান, তার ইউনিয়নের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা বন্যায় প্লাবিত, প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি ত্রাণ কম পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদ, বিত্তশালী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে আসছে। তিনি বন্যার্ত্যদের সাহায্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহŸান জানান।
মুড়িয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন একটি জনপদ চাতলপারে প্রবাসীদের অর্থায়নে ত্রাণ বিতরণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব। তিনি জানান, মানুষের অবস্থা ভয়াবহ শোচনীয়, প্রয়োজনের তুলনায় আমরা মানুষকে অল্পই দিচ্ছি। তিনি দেশে-বিদেশে থাকা সকল বিত্তশালী বিয়ানীবাজারবাসীকে এগিয়ে আসার আহŸান জানান।