বন্যায় শিক্ষাখাতেও ক্ষতচিহ্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ জুন ২০২২, ৯:২৫:৫৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ২০২০ সালে করোনার কারণে পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল ওই বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। মড়কের ঢেউয়ে পিছিয়ে দেয়া সেই পরীক্ষা দু’বছরেও আর নেওয়া সম্ভব হয়নি। দিতে হয়েছিল অটোপাস। এই দারুণ বিপর্যয়ের বছর না ঘুরতেই নতুন বিপর্যয়ের মুখোমুখি হলো শিক্ষাখাত। এবারের বিপর্যয়ের নাম বন্যা আর পাহাড়ি ঢল।
ভারতের মেঘালয়-আসাম থেকে নেমে আসা ঢলে তলিয়ে গেছে গোটা সিলেট অঞ্চল। এ কারণে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বন্ধ ঘোষণা করে দেয়া হয়েছে সিলেট বিভাগের ৩ হাজার ৯৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর বাইরেও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন ভেসে গেছে বানের তোড়ে, এখনো পর্যন্ত যার হিসেবই নেই কারও কাছে। বন্যায় ভিটেমাটি ডুবে যাওয়ায় দরুন বিপাকে রয়েছেন সিলেট অঞ্চলের সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষায় মহামারীতে যে ক্ষতি হয়েছে, সেটি সামলিয়ে উঠা সম্ভব হচ্ছেনা। এর মাঝেই এসেছে এই বন্যা। এই বন্যায় ক্ষতি কেমন হবে সেটি এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না, তবে বড় ক্ষতিই হবে।’ সিলেট অঞ্চলের শিক্ষকেরা বলছেন, করোনার পর এটিই শিক্ষাখাতে সবচেয়ে বড় এবং ভয়াবহ আঘাত। এই ক্ষতিও পুষিয়ে নিতে সময় লাগবে দীর্ঘ।
এদিকে, সিলেট সিটি করপোরেশনের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে লোকজন বাসাবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। রোববার সকাল পর্যন্ত মহানগর এলাকায় সহস্রাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করেছিল।