অস্থিরতা চলছেই নিত্যপণ্যের বাজারে
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুলাই ২০২২, ১০:০৬:৩৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা চলছেই। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বেড়েছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। বিশেষ করে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ক্যারিং খরচের দোহাই দিয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে পণ্য।
এ সপ্তাহে বেশী বেড়েছে গুঁড়ো দুধের দাম। এক কেজি ফ্রেশ ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধের দাম ৯০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬৯০ টাকা। মার্কস ব্র্যান্ডের দুধের কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে ৬৪০ টাকার মার্কস গুঁড়ো দুধ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ টাকায়। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্যানুযায়ী, গত এক সপ্তাহে গুঁড়ো দুধের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশের কাছাকাছি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিকে করোনা সংক্রমণ, অন্যদিকে আমদানি ব্যয়-দুটোই বেড়েছে। এ কারণে বাড়ছে গুঁড়ো দুধের দামও।
সিলেটের বাজারগুলোতে ৩৮০ টাকার আমদানি করা শুকনো মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগেই পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
একইভাবে আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। গত সপ্তাহের ২৫ টাকা কেজির আলু এখন ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ শতাংশ।
দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে মসুর ডাল। গত সপ্তাহে ১২৫ টাকা কেজির মসুর ডাল এখন ১৩০ টাকায়। ১১৫ টাকার ডাল হয়েছে ১২০ টাকা। ৫৫ টাকা কেজির অ্যাংকর বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
মুরগির বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০-১৬০ টাকা। কক বা সোনালি মুরগির কেজি আকারভেদে ২৫০-২৮০ টাকা।
মুরগির ডিম (লাল) প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কোথাও আবার তার ১২৫ টাকাও নেওয়া হচ্ছে। দেশি মুরগির ডিম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
সবজীর ক্ষেত পানিতে ডুবে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে সিলেটের বাজারে। বাজারে নতুন আসা কাকরোলের কেজি ৬০-৮০ টাকা। কাঁচা পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা, পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৩০-৪০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা আছে, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা। করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বন্দরবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারের সবজীর ঘাটতি আছে। সিলেটের অধিকাংশ সবজী ক্ষেত পানির নিচে। এখন যা আসছে তা সিলেটের বাইরের জেলাগুলো থেকে। এগুলো চাহিদার তুলনায় কম। ফলে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে পণ্য। শীতের আগ পর্যন্ত বাড়তি দামেই খেতে হবে সবজী।