বিপর্যস্ত সিলেটে বিবর্ণ ঈদ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুলাই ২০২২, ৬:৪০:৪৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কাঁঠালবাড়ি গুচ্ছগ্রাম। ওই গ্রামের বাসিন্দারা এখনো নৌকা নিয়েই যাতায়াত করছেন। গ্রামের চলাচলের পথগুলো এখনো পানির নিচে। গ্রামের মসজিদেও যাতায়াত করতে হচ্ছে পানি ডিঙিয়ে। ঈদ জামাতে অংশ নিতে গ্রামের বাসিন্দারা পানি ডিঙিয়ে মসজিদে হাজির হন। পরে ঈদের জামাত শেষে আবার হাঁটুপানি মাড়িয়ে নিজ ঘরে ফিরেন। শুধু কোম্পানীগঞ্জের গুচ্ছগ্রাম নয়। সিলেটের হাজারো গ্রামে এবার এভাবেই উদযাপিত হয়েছে ঈদ।
ফলে ঈদ যেন এবার অনেকটাই বিবর্ণ এখনো পানিতে নিমজ্জিত।
হাজারো মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে, অন্যের বাড়িতে কিংবা বিধ্বস্ত ঘরেই উদযাপন করেছেন ঈদ।
এদিকে, সিলেটের ঈদুল আযহার প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ মাঠে। রোববার সকাল ৮টায় নামাজের আগে বয়ান পেশ করেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. আবু হোরায়রা। পরে তিনি নামাজের ইমামতি করেন।
শাহী ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত আদায় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এছাড়াও বিভিন্ন প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের হাজারো মানুষ সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করেন মাওলানা মো. আবু হোরায়রা। ঈদ জামাতে প্রবেশের মুখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তীক্ষ্ম নজরদারি ছিল।
এদিকে, আন্জুমানে খেদমতে কুরআন এর উদ্যোগে সিলেট সরকারী আলীয়া মাদরাসা মাঠে ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৭ টায় অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আব্দুস সালাম-আল মাদানী। জামায়াতে মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ছিলো।
কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে পৃথক তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়, ইমামতি করেন শায়েখ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান আল মাদানী। দ্বিতীয় জামাত হয় ৮টায়, ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা মিফতাহুদ্দীন এবং তৃতীয় জামাত ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়, ইমামতি করেন হাফেজ আব্দুল হাকিম।