কানাইঘাটে নাজিম হত্যা রহস্য উদঘাটন: নেপথ্যে নারী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুলাই ২০২২, ৯:৪০:৫৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের আলোচিত কানাইঘাটে নাজিম উদ্দিন হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার রুহেল আহমেদ রেকেলকে আটকের পর ক্লুলেস মামলার রহস্য বেরিয়ে আসে বলে জানায় পুলিশ।
সূত্রে জানা গেছে, নাজিম উদ্দিন ও রুহেল আহমেদ রেকেল পরষ্পরের বন্ধু ছিল। মাঝে মধ্যে তারা বাইরে থেকে নারী এনে অসামাজিক কাজ করতেন। ঈদের পর নাজিম আসামি রুহেলকে পতিতা আনার জন্য বললে সে তা আনতে পারেনি। এক পর্যায়ে নাজিম মেয়ে সংগ্রহ করতে না পারলে তার বন্ধু রুহেলের স্ত্রীকে নিয়ে আসার জন্য বলে। তার সূত্র ধরে হত্যাকান্ড ঘটে।
পুলিশ জানায়, গত ১৩ জুলাই কানাইঘাটের রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্গত খালাইউরা নামক স্থানে সুরমা নদীর পাড়ে একটি অজ্ঞাতনামা মৃতদেহ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। পরে জানা যায় মৃতদেহটি নিজ রাজাগঞ্জ গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র নাজিম উদ্দিনের।
এই হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শাহরিয়ার বিন সালেহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি এন্ড মিডিয়া) মো: লুৎফুর রহমান ও কানাইঘাট সার্কেল এর সহকারি পুলিশ সুপার মো: আব্দুল করিম।
কমিটির সদস্যরা কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ শর্মাকে ঘটনার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আলামত উদ্ধারের জন্য প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।
সিলেট জেলা পুলিশের তথ্য প্রযুক্তি ইউনিট ঘটনা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিক বিশ্লেষন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার মহরম আলীর পুত্র রুহেল আহমমেদ রেকেলকে সোমবার আটক করা হলে সে পুলিশকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিলেট জেলা পুলিশের মুখপাত্র মো: লুৎফুর রহমান বলেন, ভিকটিম নাজিম ও রুহেল ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল। তারা মাঝে মধ্যে বাইরে থেকে নারী এনে অসামাজিক কাজ করতো। ঈদ পরবর্তী সময়ে ভিকটিম নাজিম আসামি রুহেলকে পতিতা আনার জন্য বললে সে তা আনতে পারেনি। এক পর্যায়ে ভিকটিম নাজিম মেয়ে সংগ্রহ করতে না পারলে তার বন্ধু রুহেলের স্ত্রীকে নিয়ে আসার জন্য বলে। এ কথা বলার পর রুহেল এশার নামাজের ঠিক পরপর নদীর পাড়ে এসে দু জনে সিগারেট খাবার এক পর্যায়ে নাজিম রুহেলকে তার স্ত্রীকে আনার কথা জিজ্ঞাসা করলে পূর্ব হতে লুকিয়ে রাখা মুগর দিয়ে মাথায় একাধিকবার আঘাত করে। এতে নাজিমের মৃত্যু হয়। পরে নাজিমের সাথে থাকা নগদ টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন নিয়ে যায় রুহেল।