নগরের সড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুলাই ২০২২, ১২:১০:৫২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ভারি বর্ষণ আর বন্যার কারণে সিলেট নগরের অধিকাংশ এলাকায় পানি জমে রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। কোনো কোনো রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। পিচ-খোয়া উঠে স্থানে স্থানে তৈরি হয়েছে খানাখন্দক। সৃষ্টি হওয়া ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। ধীরগতিতে যান চলায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এ অবস্থা সিলেট নগরের সোবহানীঘাট এলাকার। মূলত বন্যার পানিতে দীর্ঘদিন তলিয়ে থাকায় সড়কটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ও সিটি কর্পোরেশনের ঠেলাঠেলিতে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হচ্ছে না সড়কটি। তাই দিন দিন এ সড়ক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হচ্ছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখার তথ্য অনুযায়ী, নগরের পুরোনো ২৭টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৫টি ওয়ার্ড মিলিয়ে সর্বমোট ৪২টি ওয়ার্ড রয়েছে। বন্যার পানিতে এসব ওয়ার্ডের মোট ১২৭ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব সড়ক সংস্কারে মোট ৪০০ কোটি টাকা খরচ পড়বে। সব মিলিয়ে ৪২টি ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের ৯৯০ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, মহানগরীর কোন কোন এলাকায় বন্যায় সড়ক বিধ্বস্ত হয়েছে, এর জরিপকাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ভাঙাচোরা সড়ক সংস্কার বা পুনর্র্নিমাণে কত টাকা ব্যয় হবে, তাও নির্ধারণ করা হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে সব সড়ক মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের সোবহানীঘাট, নাইওরপুল, কুমারপাড়া, উপশহর, যতরপুর, মীরাবাজার, পুলিশ লাইনস, মীরের ময়দান, ইলেকট্রিক সাপ্লাই, শামীমাবাদ, পাঠানটুলা, মদিনা মার্কেট ও কালীঘাট এলাকার সড়ক ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় লোকজন বলেছেন, বন্যার পানি নামার পর সড়কগুলোর ক্ষত বেরিয়ে এসেছে। এসব এলাকা দিয়ে চলাচলে মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভাঙাচোরা সড়কের আশপাশের বাসিন্দা ও কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যার পানিতে সড়কের বিটুমিন-কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। এসব সড়কে বিশেষত রাতের বেলায় প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, নগরের বন্যাকবলিত বেশির ভাগ এলাকার সড়ক বিধ্বস্ত হয়েছে। যেসব সড়ক বন্যা শুরু হওয়ার আগে ভাঙাচোরা ছিল, সেসব সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খানাখন্দকময় সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশাসহ শত শত যানবাহন চলে থেমে থেমে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের খানাখন্দে পানি জমে যানবাহন চলাচলের সময় ছিটকে পড়ে। এতে পথচারীদের কাপড় নোংরা হচ্ছে।