আশির দশকের শক্তিমান কবি ফজলুল হক আর নেই

বিশেষ সংবাদদাতা : আশির দশকের শক্তিমান কবি ফজলুল হক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তিনি মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় সিলেটের বাসায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। কবি ফজলুল হক মৃত্যুকালে স্ত্রী, ২ পুত্র এক কন্যা এবং অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের লাশ সিলেট থেকে বিয়ানীবাজার নিয়ে আসার প্রস্তুুতি চলছে।

তিনি ১৯৬১ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার প্রাচীনতম জনপদ পঞ্চখ-ের (বর্তমান বিয়ানীবাজার উপজেলা) কসবা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ফজলুল হক কবিতা লেখার পাশাপাশি লিখেছেন গদ্য ও গীতিকবিতা। তিনি বাংলাদেশ বেতারের খ্যাতিমান গীতিকার। একজন প্রগতিশীল সংস্কৃৃতিকর্মী ও সাংবাদিক হিসেবে তার সুনাম আছে। কবিতা ও গদ্য রচনায় রয়েছে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘পৃথক দংশন’, ‘কবির জন্মদিন’, ‘শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে নির্বাসনের দিনে’। সম্পাদনা গ্রন্থ ‘তপোধীর ভট্টাচার্য :জীবন ও কর্ম’ ইত্যাদি।

আশির দশকের বাংলাদেশের সমকালীন কবিতার এই অগ্রণী কবির কবিতা রচনার মূল বিষয়বস্তু হলো বর্ণময় গ্রাম ও শহর। ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা এবং সাহিত্য সংকলন ও সাময়িকীতে নিয়মিত তার লেখা প্রকাশিত হয়।

দার্শনিক পণ্ডিত রঘুনাথ শিরোমণি, শ্রীচৈতন্য পার্ষদ শ্রীবাস পণ্ডিত, কবি বৃন্দাবন দাস, মহেশ্বর ন্যায়লঙ্কার, শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. জি সি দেব ও কবি তাত্ত্বিক অধ্যাপক ড. তপোধীর ভট্টাচার্য প্রমুখের জন্মভূমি পিতৃভূমি পঞ্চখণ্ডের মনীষা ও পরম্পরার নিকটতম প্রতিনিধি এই কবি।

জালালাবাদ সম্পাদকের শোক : কবি ফজলুল হক এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক ও সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি মুকতাবিস উন্ নূর। এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।