দোয়ারায় ঘনঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ট
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জুলাই ২০২২, ৮:৫৮:২৫ অপরাহ্ন
দোয়ারাবাজার সংবাদদাতা: সারাদেশের মত সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারেও ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের ঘোষিত সিডিউল না মেনে লাগামহীন লোডশেডিং এর কারণে বিদ্যুৎ অফিসের প্রতি সাধারণ গ্রাহকদের ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে ফ্রিজ, টিভি, ফ্যান, কম্পিউটার, বাতি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া যেকোনো সময় শর্টসার্কিটের কারণে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
তবে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫১ দশমিক ৮৭ ভাগ গ্যাসনির্ভর। গ্যাস-সংকটের কারণে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় সময়গুলোতে যেন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়, সে জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে ২৯ ও ৩০ জুলাই সারারাত বিদ্যুৎ ছিলনা। বিনা বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিলো। ভ্যাপসা গরম ও বিদ্যুৎহীনতায় বিনিদ্র রজনী কেটেছে ভুক্তভোগী মানুষের। যদিও বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকতা জানিয়েছেন বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের লাইনে সমস্যা থাকায় বিদ্যুৎ সচল করা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে বিদ্যুৎ অফিস চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুৎ পাচ্ছে বলে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে।
লোডশেডিং এর পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল থাকার পরেও কেন সেটা অনুসরণ করা হচ্ছেনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে গ্রিড নিয়ন্ত্রণ কক্ষের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, সিডিউল বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমরা চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ পাচ্ছি অর্ধেকের চেয়েও কম। যার কারণে সিডিউল মেনে চলা সম্ভব হচ্ছেনা।
গ্রাহকরা জানান, আধা ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে আবার কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না দোয়ারাবাজার উপজেলায়। বিদ্যুতের অভাবে যেমনি মানুষ ঘরে থাকতে পারছে না, তেমনি ব্যবসা বাণিজ্য ও শিক্ষাব্যবস্থায় প্রভাব পড়েছে। নামাযের সময়ও মানা হচ্ছেনা নিয়ম। এতে ব্যাঘাত ঘটছে মসজিদে নামাযরত মুসল্লীদের।
দোয়ারাবাজার উপজেলা বিদ্যুৎ বিভাগের (এজিএম) জাহিদুল ইসলাম জানান, আমাদের ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি ৩ মেগাওয়াট, অর্থাৎ অর্ধেকের চেয়ে কম। এই অর্ধেক বিদ্যুৎ পাওয়ায় আমরা সবাইকে এক সাথে বিদ্যুৎ দিতে পারছিনা। বাস্তবতার সাথে ওই সিডিউলের কোন মিল নেই, একারণেই সেটা মানা সম্ভব হচ্ছেন।
সাধারণ গ্রাহকরা জানিয়েছেন সংকটকালীন সময়ে লোডশেডিং মেনে নিতে গ্রাহকদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু লোক দেখানো সিডিউল তৈরি করে ইচ্ছেমত কোন কোন ফিডারে অস্বাভাবিক লোডশেডিং চাপিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত কোন মতেই মেনে নেয়া যায় না। তারা অবিলম্বে লোডশেডিং সিডিউল যথাযথ অনুসরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন।