দুর্দান্ত জয়ে সিরিজে সমতা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ জুলাই ২০২২, ৯:৪৪:৪৮ অপরাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক : মোসাদ্দেকের স্পিন ঘূর্ণির পর লিটনের ব্যাটিং তা-ব। ব্যাটিং-বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে সমতায় ফিরতে বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশের। ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে ১৫ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় পান টাইগাররা।
প্রায় ৫ মাস পর টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা পেল লাল-সবুজরা। গত মার্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষবার ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এ সংস্করণে জয় দেখেছিলেন লিটনরা।
জয় পেলেও বাংলাদেশের ওপেনিং ভীতি এখনো কাটেনি। রোববার হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সেটা আবার দেখা গেল। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ময়মনসিংহের ছেলে ওপেনার মুনিম।
যদিও প্রথমই ওভারে বাউন্ডারি মেরেছিলেন, তবু খুব একটা স্বচ্ছন্দ ছিলেন না মুনিম শাহরিয়ার। রিচার্ড এনগারাভার স্লোয়ারে ফিরলেন বোল্ড হয়ে। স্ট্যাম্পে থাকা ফুল লেংথের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন মুনিম। যেতে পারেননি লাইনে, এলোমেলো হয়ে যায় স্ট্যাম্প। তাতেই ভাঙে ৩৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৮ বলে এক চারে ৭ রান করে ফেরেন মুনিম।
আগের ম্যাচে সম্ভাবনা জাগিয়েও আগেভাগেই থেমে যান লিটন দাস। তবে এবার আর হতাশ করেননি। চার মেরে পঞ্চাশ রান স্পর্শ করেন তিনি। অর্ধশতক ছুঁয়েছেন ৩০ বলে। টি-টোয়েন্টিতে এটি তার ষষ্ঠ ফিফটি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয়। দলকে দারুণ সূচনা এনে দেওয়ার পথে ছয় চারের পাশে লিটন মেরেছেন দুটি ছক্কা।
অবশ্য চমৎকার ব্যাটিংয়ে ফিফটির পর বেশি দূর যেতে পারেননি লিটন দাস। শন উইলিয়ামসের বলে ফিরে যান এলবিডব্লিউ হয়ে। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে ফুল লেংথ ডেলিভারিতে সুইপ করার চেষ্টা করেন লিটন। ব্যাটে খেলতে পারেননি তিনি। বল হয়তো লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে যেত। আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেওয়ায় ভীষণ হতাশ দেখায় ব্যাটসম্যানকে। এনামুল হকের সঙ্গে ২৭ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন লিটন। তিনি ৩৩ বলে দুই ছক্কা ও ছয় চারে করেন ৫৬ রান।
লিটনের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকে থাকেননি বিজয়ও। ১৫ বলে ২ চারে ১৬ রান করে ফেরেন তিনি। আনামুলের বিদায়ের পরই রান রেট কমতে থাকে টাইগারদের। অনেকটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন শান্ত ও আফিফ। এতে জয়ের বন্দরে যেতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি বাংলাদেশের। আফিফ ৩০ ও শান্ত ১৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে রাজা, উইলিয়ামস ও রিচার্ড একটি করে উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (চাকাভা ০, আরভিন ১, মাধেভেরে ৪, রাজা ৬২, উইলিয়ামস ৮, শুম্বা ৩, বার্ল ৩২, জঙ্গুয়ে ১০, মাসাকাদজা ৬, এনগারাভা ০*; মোসাদ্দেক ৪-০-২০-৫, মেহেদী ৩-০-১০-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৩০-১, শরিফুল ৪-০-৩৭-০, হাসান ৪-০-২৬-১, আফিফ ১-০-১২-০)।
বাংলাদেশ : ১৭.৩ ওভারে ১৩৬/৩ (লিটন ৫৬, মুনিম ৭, এনামুল ১৬, আফিফ ৩০, শান্ত ১৯ ; মাসাকাদজা ৩-০-২২-০, মাধাভেরে ৩-০-১৮-০, বার্ল ১-০-১২-০, শন উইলিয়ামস ২-০-১৩-১, সিকান্দার ৩-০-১৮-১)।
কাল মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।