নৈরাজ্য চলছেই সিএনজি অটোরিক্সায়
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ আগস্ট ২০২২, ৬:০০:৩৮ অপরাহ্ন
* ৫ যাত্রী নিলেও অতিরিক্ত ভাড়া * যাত্রী নাজেহালও নিত্যদিনের ঘটনা
এমজেএইচ জামিল : সুবিদবাজার থেকে বন্দরবাজারের সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া ছিল ১০ টাকা। ৩ জন যাত্রী নেয়া হবে তাই ভাড়া নির্ধারণ হয় ১৫ টাকা। কিন্তু এখন যাত্রী ৫ জন বহন করলেও ভাড়া আদায় হচ্ছে ১৫ টাকা। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে ১৫ টাকা দিতে নারাজ এক যাত্রী। অপরদিকে ১৫ টাকা আদায় করতে মরিয়া চালক। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে চলছে তুমুল বাকবিতন্ডা। এতে যোগ দেয় অপর চালক। নাজেহাল হওয়ার ভয়ে বাধ্য হয়ে ১৫ টাকা দিয়ে পার পান ঐ যাত্রী। রোববার বিকেল ৫টায় কোর্ট পয়েন্ট এলাকার ঘটনা এটি।
এমন দৃশ্য শুধু রোববার কিংবা শুধু সুবিদবাজার-বন্দরবাজার নয়, গোটা নগরীর এবং প্রতিদিনের। কোন নিয়মনীতি ও জবাবদিহিতা না থাকায় বৈধ-অবৈধ ৩৫ হাজার সিএনজি চালকের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন নগরীর লাখো যাত্রী সাধারণ। নগরীতে পর্যাপ্ত টাউনবাস ও পাবলিক বাস না থাকায় জীবন জীবিকার তাগিদে সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের এমন ভাড়া নৈরাজ্য মেনেই চলতে হচ্ছে যাত্রীদের।
চালকদের হাতে লাঞ্চিত হওয়ার ভয়ে এ নিয়ে প্রতিবাদ করেনা কেউ। সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া নির্ধারণের ব্যাপারে সরকারী কোন প্রতিষ্ঠানের দায় না থাকায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা। নগরীর আনাচে কানাচে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অটোরিক্সা স্ট্যান্ডে ম্যানেজার থাকলেও তারা যাত্রীদের কথা না শুনে চালকের পক্ষেই কথা বলে। উল্টো স্ট্যান্ডের কতিপয় দালালকে সিএনজিতে অতিরিক্ত ভাড়ায় ৩ জনের বদলে ৫ জন যাত্রী তুলে দিতে উৎসাহ প্রদান করতে দেখা গেছে। কেউ প্রতিবাদ করলে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে গাড়ী থেকে। তাই অনেকটা নিরুপায় হয়ে মুখ বুঝে সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছেন যাত্রী সাধারণ। এ নিয়ে যাত্রীদের সাথে চালকরে বাকবিতন্ডা নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। যৌক্তিক প্রতিবাদ করতে গেলেও কয়েকজন চালক মিলে যাত্রীকে মারতে উদ্যত হয়। ভাড়া নিয়ে দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত না নিলে যে কোন সময় চালক ও যাত্রীদের মধ্যে অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ৩ জনের জায়গায় ৫ জন যাত্রী বহনের বিষয়টি নিয়ে বিআরটিএ এবং ট্রাফিক পুলিশের নিরবতায় সিএনজি চালকেরা একদিকে যেমন আইন অমান্য করছে অপরদিকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের পকেট কাটছে। সিলেটে একটি সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন থাকলেও সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কথা মানতে চায়না চালকেরা। উল্টো সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে কিছু কিছু চালককে বাজে মন্তব্য করতেও দেখা যায়। শ্রমিক ইউনিয়ন নামে থাকলেও বাস্তবে তাদের কাজ খুব একটা চোখে না পড়ছেনা। ফলে একদিকে যাত্রী দুর্ভোগ বাড়ছে অপরদিকে চালকেরা অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েও যাত্রীদের লাঞ্চিত করার সাহস পাচ্ছে।
জানা গেছে, গেল বছরের মাঝামাঝি সময়ে ট্রাফিক নগরীতে ত্রি হুইলার সিএনজি অটোরিক্সা গাড়ীর জন্য ৩ জন যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত দেয় বিআরটিএ ও ট্রাফিক পুলিশ। এই আইনের কারণে সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েকজন নেতা বসে ইচ্ছেমতো একটা ভাড়া নির্ধারণ করেন। এজন্য তারা সরকারী কিংবা জনপ্রতিনিধি কাউকে অবহিত করার প্রয়োজন মনে করেনি। কিন্তু তাদের নির্ধারণ করা ভাড়া তারা নিজেরাই মানতে নারাজ। শুরুর দিকে অতিরিক্ত যাত্রীবহনের জন্য ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে মামলা জরিমানা আদায় হলেও বর্তমানে অন্যান্য কারণে মামলা হলেও অতিরিক্ত যাত্রী বহনের ব্যাপারে তেমন দৃষ্টি নেই ট্রাফিক পুলিশের। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে এব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
সিএনজি অটোরিক্সার ভাড়ার ব্যাপারে বিআরটিএ’র কিছু করার নেই জানিয়ে বিআরটিএ সিলেট অফিসের সহকারী পরিচালক (প্রকৌশলী) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, আমরা ৩ জনের বেশী যাত্রী বহন বন্ধে শীঘ্রই ধারাবাহিক বড় ধরনের অভিযানে নামবো। নগরীর সবকটি পয়েন্টে আমাদের জোরালো অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। অটোরিক্সার ভাড়া নির্ধারণ করবে যাত্রী ও চালক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গেল বছরের আগষ্ট মাস থেকে নগরীতে সিএনজি অটোরিক্সায় গ্রিল লাগানো ও ৩ জন যাত্রী বহনের নির্দেশনা দিয়ে তা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও মহানগর ট্রাফিক পুলিশ। ২০২০ সালের নভেম্বরে ট্রাফিক পুলিশ কিছুটা হার্ডলাইনে গেলে প্রতিবাদে লাগাতার ধর্মঘটসহ নানা কর্মসূচী পালন করে সিএনজি চালকগন। তাদের প্রতিবাদের মূখে কিছুটা পিছু হটে বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগ। করোনাকালীন সময়ে লকডাউন চলাকালে এক সিএনজিতে ৩ জন যাত্রী বহনের নির্দেশনা থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়েছে যাত্রী সাধারণকে। এদিকে লকডাউন পুরোপুরি তুলে দেয়ার পর হঠাৎ করে গেল বছরের ১১ আগস্ট থেকে সেই আইন নিজে থেকেই কার্যকর করতে শুরু করে সিএনজি চালকরা। তারা ৫ জনের পরিবর্তে ৩ জন যাত্রী বহন করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে শুরু করে। এ নিয়ে যাত্রী সাধারণের সাথে শুরু হয় বাক বিতন্ডা। যার ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, নগরীতে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলের নীতিমালা করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর কোন আগ্রহ নেই। বিষয়টি নিয়ে প্রায় ৭ বছর আগে সিলেট মহানগর পরিবহন কমিটি (এমআরটিসি) পত্র দিলেও আজো বিআরটিএ-এর কোন জবাব দেয়নি। ফলে নীতিমালা না থাকায় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে অটোরিক্সা চলাচল। ২০০০ সালে সর্বপ্রথম সিলেট বিআরটিএ কার্যালয়ে থ্রিহুইলার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে সর্বশেষ অটোরিক্সার রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয় সিলেট বিআরটিএ-তে। ১৪ বছরে সিলেট বিআরটিএ কার্যালয় থেকে ২১ হাজারের বেশী অটোরিক্সার রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়। এর মধ্যে ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় ইতোমধ্যে ১০ হাজার অটোরিক্সা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে আছে। আইন অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল সম্পূর্ণ বেআইনী। কিন্তু এসব মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি অটোরিক্সা অবাধে চলছে নগরীসহ সিলেটের বিভিন্ন এলাকায়।
এদিকে সিএনজি ভাড়া নৈরাজ্য থেকে মুক্তি পেতে নগরীতে সিটি টাউন বাস বৃদ্ধি ও চলাচলের রুট বাড়ানোর দাবী যাত্রী সাধারণের। বর্তমানে নগরীর ৪টি রুটে প্রতিদিন ১৫টি সিটি বাস চলাচল করছে। রুটগুলো হলো: বন্দরবাজার- হেতিমগঞ্জ, বন্দরবাজার-বটেশ^র, বন্দরবাজার-সালুটিকর ও বন্দরবাজার-টুকেরবাজার। নগরীতে ২১টি সিটি বাস থাকলেও ইঞ্জিন ত্রুটি জনিত সমস্যার কারণে দিনে ১৫টির বেশী বাস চলাচল করতে পারেনা। যেসব রুটে সিটি বাস চলাচল করে এসব রুটে সব সময় যাত্রীদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। সিটি বাসগুলোকে যদি নগরীর প্রতিটি রুটে চালু করা যায় তাহলে সিএনজি অটোরিক্সার হয়রানী থেকে যাত্রীরা কিছুটা হলেও রেহাই পাবে।
রোববার সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, ৩ জন চড়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ সিএনজিতে যাত্রী আছেন ৫ জন। কিন্তু ভাড়া নিচ্ছে অতিরিক্ত। মদীনা মার্কেট থেকে ওসমানী মেডিকেলের ভাড়া ছিল ৫ টাকা। সেখানে এখন নেয়া হচ্ছে ১০ টাকা। ৩ জন যাত্রী বহন করার কথা থাকলেও বহন করছে ৫ জন। ভাড়া আদায় করছে মাথাপিছু ১০ টাকা করে। এমন অবস্থা বন্দরবাজার, আম্বরখানা, শিবগঞ্জ, টিলাগড়, মেজরটিলা, কুমারগাও বাসস্ট্যান্ড, কদমতলী টার্মিনাল ও মেডিকেল রোডসহ নগরীর সকল পয়েন্টে।
জানা গেছে, বন্দরবাজার থেকে টুকেরবাজারের ভাড়া পূর্বে ছিল ১৫ টাকা। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করেই ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করেন সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড ম্যানেজাররা। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে কোন আলাপ আলোচনা না কওে নিজেরাই এই ভাড়া নির্ধারণ করেন।
এদিকে, বন্দরবাজার থেকে টুকেরবাজারের পুনঃনির্ধারিত ভাড়া ছিল ২০ টাকা। এখন ৩ যাত্রী বহনের কথা বলে জনপ্রতি নেয়া হচ্ছে ৩৫ টাকা। ৫ জন যাত্রী নিয়ে যেখানে পাওয়া যেতো ১০০ টাকা, সেখানে ৩জন যাত্রী নিয়ে চালক পাচ্ছেন ১০৫ টাকা। এতেও সন্তুষ্ট নয় অটোরিক্সা চালকেরা। তারা ৫ জন যাত্রী নিয়ে আদায় করছে জনপ্রতি ৩০ টাকা। আম্বরখানা থেকে টুকেরবাজার পূর্বের ভাড়া ছিল ১৫ টাকা। এখন জনপ্রতি নেয়া হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। যাত্রী বহন হচ্ছে ৫ জনই।
এমন দৃশ্য বন্দরবাজার টু বটেশ^র, বন্দরবাজার টু দক্ষিণ সুরমা, আম্বরখানা টু বিমানবন্দর, আম্বরখানা টু টিলাগড়, জেলরোড টু শাহী ঈদগাহ সহ নগরীর সকল রুটে। বন্দরবাজার-শিবগঞ্জ ভাড়া ১০ টাকা হলেও নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা। বন্দরবাজার-শাহপরান ২০ টাকা হলেও নেয়া হচ্ছে ৩৫ টাকা। বন্দরবাজার-ঈদগাহ ভাড়া হলো ১০ টাকা, এই সামান্য পথেও ভাড়া নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা। ভাড়া বেশী নিলেও যাত্রী বহন হচ্ছে ৫ জনই। প্রতিবাদ করলেই নামিয়ে দেয়া হয় গাড়ী থেকে। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যাচ্ছেন সবাই।
শুধু নগরের ভেতরেই নয়, সিলেটের বিভিন্ন রুটেও একই চিত্র। নিয়মনীতির কোন বালাই নেই। সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের কাছে একপ্রকার জিম্মি যাত্রীরা।
এ ব্যাপারে বিআরটিএ সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (প্রকৌশলী) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, সিএনজি অটোরিক্সার ভাড়া নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। সিএনজি মিটার থাকলে মিটারে চলবে অন্যথায় চুক্তিতে যাত্রী বহন করবে। তবে গ্রীল লাগানোর ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা দেয়া আছে। পাশাপাশি ত্রি হুইলার গাড়ী হিসাবে ৩ জন যাত্রী বহন করবে। অন্যথায় এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমাদের নিয়মতান্ত্রিক মনিটরিং অব্যাহত আছে। এছাড়া শীঘ্রই আমরা এ বিষয়ে বড় অভিযানে নামতে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিএনজি অটোরিক্সার বিষয়টি দেখার মূল দায়িত্ব বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগের। কিন্তু তারা ভাড়া নিয়ে নিরব রয়েছে। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কারণে সিটি কর্পোশনের উদ্যোগে সিএনজি ভাড়া নিয়ে সিলেটের সকল শ্রেণীপেশার মানুষের সাথে বসার একটা পরিকল্পনা রয়েছে।
এসএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ বলেন, সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন করাই ট্রাফিক বিভাগের কাজ। ভাড়া নিয়ে কিছু করার এখতিয়ার আমাদের নেই। সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের নিয়মমাফিক দায়িত্ব চলমান আছে। এরপরও ওভারলোডিং বন্ধে আমরা ফের জোরালো অভিযান শুরু করবো।
সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের এসব অভিযোগ শুনতে শুনতে আমরা বিরক্ত এবং লজ্জিত। সিএনজিতে ৩ জন যাত্রী বহন ও সে অনুযায়ী ভাড়া নেয়ার ব্যাপারে আমাদের কঠোর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কিছু চালক তা মানছেনা। ফলে বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মূখে পড়তে হয়। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের সাথে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া কয়েকটি সিএনজি চালককে আমরা জরিমানাও করেছি। যদি আমাদেরকে কোন চালকের অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার ভিডিও বা প্রমাণ দেয়া হয় তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিবো।