শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয় লাশ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ নভেম্বর ২০২২, ৭:৩৪:৪১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে ৪ বছরের শিশুকন্যা খাদিজা বেগমকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সেই সাথে হত্যাকারীকে গ্রেফতারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পঠানো হয়েছে।
ধর্ষকের নাম কার্তিক চন্দ্র মিস্ত্রি (৬৫)। তিনি বরিশালের গৌরনদি উপজেলার বেদগর্ভ গ্রামের মৃত জগবন্ধু মিস্ত্রির ছেলে। বর্তমানে তিনি বিশ্বনাথের সিংগেরকাছ বাজারের বাসিন্দা ও চাঁদসির ক্ষত চিকিৎসালয় নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল সকালে বিশ্বনাথ উপজেলার সিঙ্গেরকাছ বাজারে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুস সালামের বাসার একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে শিশুকন্যা খাদিজা বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় একই সালের ২ মে খাদিজার দাদা আসমত আলী বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ক্লু লেস এই মামলার স্বাক্ষী ছিলেন কার্তিক মিস্ত্রি। পরে আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
তদন্তের দায়িত্ব পান পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আশরাফ উজ্জামান। এসময় তদন্ত কর্মকর্তার সন্দেহ হলে তিনি মামলার স্বাক্ষী কার্তিকের যাবতীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের সাথে কার্তিকের সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে নিশ্চিত হন। পরে গত রোববার বিকেলে বিশ^নাথ উপজেলার সিঙ্গেরকাছ বাজার থেকে তাকে গ্রেফাতার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জানান, সোমবার কার্তিক চন্দ্র মিস্ত্রিকে আদালতে তোলা হয়। এসময় তিনি কন্যাশিশু খাদিজাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন বলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।