পুলিশের ছেলেকে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন ৩ পুলিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ৮:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে এক কলেজছাত্রকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে ৩ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি দৈনিক জালালাবাদকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদীপ দাস।
বরখাস্তকৃত তিন পুলিশ সদস্য হলেন- মো. ঝুনু হোসেন জয় (বিপি-০১২০২৩৬৪২৪), ইমরান মিয়া (বিপি-০১২০২৩৫৫৪৭) ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (বিপি-০০২০২৩০৯৯৯)। তিনজনই কনস্টেবল পদমর্যাদায় এসএমপির পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, পুলিশ সদর দপ্তরের পিআইও শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েদের ছেলে সাইফুর রহমান আসাদ (১৮)। তিনি সিলেট শহরতলির মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা।
গত ১৩ অক্টোবর আসাদ অনলাইনে নিজের পুরনো একটি মোবাইল ফোন ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ওইদিন সন্ধ্যার পর বন্ধুকে সাথে নিয়ে ফোন বিক্রির টাকা নিতে নগরীর বন্দরবাজারে যান তিনি। এরপর মোবাইল বিক্রির টাকা নিয়ে তারা দু’জনে শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায় যান। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিন পুলিশ সদস্য আসাদ ও তার বন্ধুকে জাপটে ধরেন। পরে ওই পুলিশ সদস্যরা তাদের সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ইয়াবা পেয়েছেন বলে দাবি করেন। তখন আসাদ এর প্রতিবাদ করেন এবং পুলিশে কর্মরত তার বাবার পরিচয়ও দেন। পরে বিষয়টি তার বাবাকেও জানান। খবর পেয়ে শাহপরান থানায় কর্মরত এসআই জামাল ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে আসাদ ও তার বন্ধুকে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যান। সেখানে মুচলেকা রেখে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে কলেজ ছাত্র সাইফুর রহমান আসাদকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও পৌঁছায়। এর প্রেক্ষিতে এসএমপি পুলিশ লাইনের এডিসি (ফোর্স) সালেহ আহমদকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে গত ২৪ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি। ওই প্রতিবেদনের স্মারক এসএমপি-১৬০/এডিসি (ফোর্স)। তদন্তে তিন কনস্টেবলের অপকর্মের বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এরপরই তাদের তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রশ্ন ওঠছে, এ তিন পুলিশ সদস্যের কাছে ইয়াবা কোথা থেকে এলো। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা হবে কিনা।
এ প্রসঙ্গে এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদীপ দাস বলেন, পুলিশ লাইনের এডিসি’র তদন্তে এই তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন জনেরই বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।