নিয়ন্ত্রণহীন ওষুধের বাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ৪:৫৬:০১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :
বেড়েই চলেছে ওষুধের দাম। কয়েক মাসের ব্যবধানে ২০ টাকার নাপা সিরাপের দাম এখন ৩৫ টাকা। শুধু নাপা সিরাপ-ই নয়, সবধরনের ওষুধের দাম বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। এরমধ্যে সামনে আরেক দফা বাড়ার আভাস দিয়েছেন ফার্মেসী ব্যবসায়ীরা। নিত্যপণ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে ওষুধের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষ পড়েছেন বিপাকে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠে। এক্ষেত্রে ওষুধ হয়ে গেছে ব্যতিক্রম। নীরবে ওষুধের দাম বাড়লে কোথাও তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। অথচ প্রয়োজনীয় সব ওষুধের দাম একটু একটু করে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। নানা কারণ দেখিয়ে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে অন্তত ৫৩ ধরনের ওষুধের দাম বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু এই সুযোগে প্রায় সব ধরনের ওষুধের দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর ওষুধ কোম্পানি লিবরা ইনফিউসনের স্যালাইনসহ ২৪ ধরনের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। হাইকোর্টে রিট করে লিবরা তাদের এই ২৪ ধরনের ওষুধের দাম বাড়িয়ে নিয়েছে। আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর গত ২০ ডিসেম্বও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি বৈঠক হয়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিতি ছিলেন।
ঐ সভা শেষে সংশ্লিষ্টরা জানান, কাঁচামালের দাম বাড়ায় ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। ডলার সংকট ও কাঁচামালের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম সমন্বয় করা হয়েছে। লিবরা ইনফিউশন লিমিটেডের ২৪ ধরনের ওষুধের দাম প্রকারভেদে ৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আশরাফ হোসেন বলেন, দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ চাপে পড়ে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় আমরা নামমাত্র দাম বাড়িয়েছি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর শুধু প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ১১৭ ধরনের জেনেরিক ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ও আমদানিকারকরা বাড়াতে-কমাতে পারেন। একারণেই ওষুধের দাম অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে।
ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব মো. শফিউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, কাঁচামাল, প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল, পরিবহণ ও সরবরাহ ব্যয়, জ্বালানি তেলের দাম, ডলারের বিনিময় মূল্য এবং মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। এলসি খুলতে বেশি খরচ হচ্ছে। একারণে ওষুধের দাম কিছু বাড়াতে হয়েছে।
আম্বরখানায় একটি ফার্মেসীতে ঔষুধ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী নাজনীন সুলতানা ডায়াবেটিক’ এর রোগী। সঙ্গে থাইরয়েড ও উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা রয়েছে। জানালেন বর্ধিত দামে ওষুধ কিনতে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন।
তিনি জানান, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির মিক্সটার্ড ৩০ ইনসুলিন আগে পাওয়া যেত ৩৬০ টাকায়। এখন কিনতে হয় ৪১৫ টাকা দিয়ে। থাইরক্স কেনা যেত প্রতি পাতা ৫৫ টাকায়। এখন কিনতে হয় ৭৫ টাকায়। উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ওসারটিল-৫০ কেনা যেতো প্রতি পাতা ৮০ টাকা। এখন কিনতে হয় ১০০ টাকায়।
নগরীর কয়েকটি ফার্মেসি ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন লাগে এমন ওষুধ যেমন এসিডিটি, রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো রোগের ওষুধের দাম সব কোম্পানিই বাড়িয়েছে। দাম ওষুধভেদে ১৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
মেট্রোনিডাজল ২০০ মিলিগ্রামের দাম ৪০ পয়সা বেড়ে এক টাকা হয়েছে। ২৪ টাকা ১০ পয়সার এমোক্সিলিন বিপি ৫০০ মিলিগ্রাম ইঞ্জেকশনের দাম বেড়ে ৫৫ টাকা হয়েছে। জাইলোমেট্রোজালিন, প্রকোলেপেরাজিন, ডায়াজেপাম, মিথাইলডোপা, ফেরোসের মতো জেনেরিকের দাম ৫০ থেকে শতভাগ বেড়েছে।
জ্বরের জন্য নাপা ৫০০ মিলিগ্রাম প্রতি পিস ট্যাবলেট ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে ১ টাকা ২০ পয়সা হয়েছে। প্রতি পিস নাপা এক্সটেন্ড দেড় টাকা থেকে ২ টাকা হয়েছে।
বিভিন্ন ফার্মেসিতে কথা বলে জানা গেছে, প্যারাসিটামল (৫০০ এমজি) ট্যাবলেট আগে ছিল ৭০ পয়সা, বর্তমান মূল্য এক টাকা ২০ পয়সা। প্যারাসিটামল (৫০০ এমজি) ট্যাবলেটের (র্যাপিড) মূল্য আগে ছিল ৭০ পয়সা, বর্তমানে এক টাকা ৩০ পয়সা। প্যারাসিটামল (৬৫০ এমজি) ট্যাবলেটের (এক্সআর) মূল্য আগে ছিল এক টাকা ৩১ পয়সা, বর্তমানে দুই টাকা। প্যারাসিটামল (১০০০ এমজি) ট্যাবলেট আগে ছিল এক টাকা ৪ পয়সা, বর্তমান মূল্য দুই টাকা ২৫ পয়সা।প্যারাসিটামল (৮০ এমজি) ড্রপস ১৫ এমএল বোতলের মূল্য আগে ছিল ১২ টাকা ৮৮ পয়সা, বর্তমানে ২০ টাকা। প্যারাসিটামল (১২০ এমজি/৫ এমএল) সাসপেনশন (৬০ এমএল) বোতলের মূল্য আগে ছিল ১৮ টাকা, বর্তমানে ৩৫ টাকা। প্যারাসিটামল (১২০ এমজি/৫ এমএল) সাসপেনশন ১০০ এমএল বোতল আগে ছিল ৩০ টাকা ৮ পয়সা, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। প্যারাসিটামল (১২০ এমজি/৫ এমএল) সিরাপ (৬০ এমএল) বোতল আগে বিক্রি হতো ১৮ টাকায়, বর্তমান মূল্য ৩৫ টাকা। প্যারাসিটামল (১২০ এমজি/৫ এমএল) সিরাপ (১০০ এমএল) বোতলের মূল্য আগে ছিল ২৭ টাকা ৭২ পয়সা, বর্তমানে ৫০ টাকা। মেট্রোনিডাজল (২০০ এমজি) ট্যাবলেটের মূল্য আগে ছিল ৬০ পয়সা, বর্তমানে এক টাকা। মেট্রোনিডাজল (২৫০ এমজি) ট্যাবলেট কোটেডের মূল্য আগে ছিল ৯২ পয়সা আর বর্তমান মূল্য এক টাকা ২৫ পয়সা। মেট্রোনিডাজল (৪০০ এমজি) ট্যাবলেট কোটেডের আগের মূল্য এক টাকা ৩৭ পয়সা, বর্তমান মূল্য এক টাকা ৭০ পয়সা। মেট্রোনিডাজল (৫০০ এমজি) ট্যাবলেট কোটেডের মূল্য আগে ছিল এক টাকা ৬৬ পয়সা, বর্তমান মূল্য দুই টাকা। মেট্রোনিডাজল (২০০এমজি/৫এমএল সাসপেনশন ৬০ এমএল) বোতলের আগের মূল্য ২৬ টাকা, বর্তমান মূল্য ৩৫ টাকা। মেট্রোনিডাজল (২০০এমজি/৫এমএল সাসপেনশন ১০০ এমএল) বোতলের আগের মূল্য ৩৪ টাকা ৯২ পয়সা, বর্তমান মূল্য ৪৫ টাকা। মেট্রোনিডাজল (৫০০এমজি/১০০ এমএল ইনফিউশন, ১০০ এমএল) বোতলের আগের মূল্য ৭৪ টাকা ৩৫ পয়সা, বর্তমান মূল্য ৮৫ টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি (১২৫ এমজি/১.২৫ এমএল সাসপেনশন ১৫ মিলি) বোতলের আগের মূল্য ২৬ টাকা ৩৪ পয়সা, বর্তমান মূল্য ৩৫ টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি (১২৫ এমজি/৫ এমএল সাসপেনশন ১০০ মিলি) বোতলের আগের মূল্য ৪১ টাকা ৪০ পয়সা, বর্তমানে ৭০ টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি (২৫০ এমজি/৫ এমএল সাসপেনশন-ডিএস ১৫ মিলি) বোতলের আগের মূল্য ৬৭ টাকা ৯৪ পয়সা, বর্তমানে ১০০ টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি (২৫০ এমজি) ক্যাপসুলের আগের মূল্য ৩ টাকা ১৫ পয়সা, বর্তমানে ৪ টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি (৫০০ এমজি) ক্যাপসুলের আগের মূল্য ৫ টাকা ৯০ পয়সা, বর্তমানে ৭ টাকা ৫ পয়সা। এমোক্সিসিলিন বিপি (৫০০ এমজি) ইনজেকশনের আগের মূল্য ২৪ টাকা ১০ পয়সা, বর্তমানে ৫৫ টাকা। জাইলোমেট্রোজালিন এইচসিআই (০.০৫% নাসাল ড্রাপ ১৫ এমএল) আগের মূল্য ৯ টাকা ৬০ পয়সা, বর্তমানে ১৮ টাকা। জাইলোমেট্রোজালিন এইচসিআই (০.১% নাসাল ড্রাপ ১৫ এমএল) আগের মূল্য ১০ টাকা ৪ পয়সা, বর্তমানে ২০ টাকা।প্রোকলেপেরাজিন (৫ এমজি) ট্যাবলেটের আগের মূল্য ৪০ পয়সা, বর্তমানে ৬৫ পয়সা। প্রোকলেপেরাজিন (১২.৫ এমজি) ইনজেকশনের আগের মূল্য ৪ টাকা ৩৬ পয়সা, বর্তমানে ৯ টাকা। ডায়াজেপাম (১০এমজি/২এমএল) ইনজেকশনের আগের মূল্য ৩ টাকা ২২ পয়সা, বর্তমানে ৭ টাকা। মিথাইলডোপা (২৫০ এমজি) ট্যাবলেটের আগের মূল্য এক টাকা ৫০ পয়সা, বর্তমানে ৩ টাকা ৪৮ পয়সা। মিথাইলডোপা (৫০০ এমজি) ট্যাবলেটের আগের মূল্য ৫ টাকা ১৩ পয়সা, বর্তমানে ৬ টাকা ৯ পয়সা। ফ্রুসেমাইড (২০ এমজি/২এমএল) ইনজেকশনের আগের মূল্য ৫ টাকা ৯৯ পয়সা, বর্তমানে ৯ টাকা। ফ্রুসেমাইড (৪০ এমজি) ট্যাবলেটের আগের মূল্য ৫৬ পয়সা, বর্তমানে এক টাকা। ফেনোবারাবিটাল (৩০ এমজি) ট্যাবলেটের আগের মূল্য ৬৮ পয়সা, বর্তমানে এক টাকা।ফেনোবারাবিটাল (৬০ এমজি) ট্যাবলেটের আগের মূল্য এক টাকা, বর্তমানে এক টাকা ৫০ পয়সা। ফেনোবারাবিটাল (৫০ এমএল এলিক্সির ২০ এমজি ৫ এমএল) বোতলের আগের মূল্য ২১ টাকা ৭৮ পয়সা, বর্তমানে ৪৩ টাকা। ফেনোবারাবিটাল (১০০ এমএল এলিক্সির ২০ এমজি/ ৫ এমএল) বোতলের আগের মূল্য ৫০ টাকা, বর্তমানে ৭০ টাকা। ওআরএস (৫০০ এমএল) স্যাটেসের আগের মূল্য ৪ টাকা ৩৫ পয়সা, বর্তমানে ৬ টাকা। ওআরএস ফ্রুটি (২৫০ এমএল) স্যাটেস আগে বিক্রি হতো ৪ টাকা ৪০ পয়সায়, বর্তমানে ৬ টাকায়।লিডোকেইন ১% ডব্লিউভি (২০ এমজি/ ২ এমএল) ইনজেকশনের আগের মূল্য ৩ টাকা ৬ পয়সা, বর্তমানে ৭ টাকা। লিডোকেইন ১% ডব্লিউভি (৫০ এমএল) ইনজেকশন আগে বিক্রি হতো ২০ টাকা, বর্তমানে ৩৫ টাকা। লিডোকেইন ২% ডব্লিউভি (৫০ এমএল) ইনজেকশনের মূল্য আগে ছিল ২৫ টাকা, বর্তমানে ৪০ টাকা। ফলিক এডিস (০.০৫ এমজি/১০০এমএল) ওরাল সলিউশনের (১০০ এমএল) বোতল ৫০ টাকা। ক্লোরফেনিরামিন (২এমজি/৫এমএল) সিরাপের (৬০ এমএল) বোতলের আগের মূল্য ১৩ টাকা, বর্তমানে ২০ টাকা। বেনজাথিন বেনজিল পেনিসিলিন (১২ লাখ ইউনিট/ভায়ল) ইনজেকশনের আগের মূল্য ১৫ টাকা ৬০ পয়সা, বর্তমানে ৩০ টাকা। এ্যসপিরিন (৭৫ এমজি) ট্যাবলেটের আগের মূল্য ৫৫ পয়সা, বর্তমানে ৮০ পয়সা। এ্যসপিরিন (৩০০ এমজি) ট্যাবলেট আগে বিক্রি হতো দেড় টাকায়, বর্তমানে ২ টাকায়।
ঔষুধের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জীবন রক্ষার অতীব প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ওষুধ কোম্পানিগুলো অধিক মুনাফা পেতেই ওষুধের দাম বাড়ায়। তাদের মনে রাখা দরকার, ওষুধ কোনো বিলাসী ভোগ্যপণ্য নয়। এর ওপর নির্ভর করে মানুষের জীবন-মরণ। এ ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত বাণিজ্যিক মনোবৃত্তি পরিহার করা দরকার। যদিও ওষুধ কোম্পানিগুলোর দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে ওষুধের কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশীয় ওষুধের দাম বেড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধের দাম কত ভাগ বাড়তে পারে, তার কোনো পর্যালোচনা সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ করেনি। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের অজুহাতে সব ধরনের আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে- এ কথা অস্বীকারের সুযোগ নেই। ওষুধ তৈরির আমদানিকৃত কাঁচামালের দামের সঙ্গে সংগতি রেখে তা সমন্বয় করা যেতে পারে। কিন্তু যেভাবে দফায় দফায় ওষুধের দাম বাড়ছে, তা রীতিমতো আতঙ্কের কারণ। বলা হয়ে থাকে, বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হয়। আমরা যেখানে রপ্তানিকারক দেশ, সেখানে নিজেদের দেশের ভোক্তাদের জন্য একটু ছাড় দিলে নিশ্চয় বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।
শুধু ব্যবসায়িক মুনাফার উদ্দেশ্যে সিদ্ধান্ত না নিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। ওষুধের মান ও অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণে রেখে এবং সাধারণ মানুষের চাহিদা ও সামর্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ ও মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি কঠোরভাবে পর্যালোচনা করা জরুরি। ওষুধের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মনিটরিংয়ের বিকল্প নেই।