তাহিরপুর সীমান্তে চোরাই কয়লা নিয়ে সংঘর্ষে ১০ জন আহত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:২৩:৪৪ অপরাহ্ন
তাহিরপুর প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে আসা ভারতীয় চোরাই কয়লা নিয়ে চোরাকারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের ১৯৯৫ পিলার সংলগ্ন এলাকা দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলা সীমান্তের চারাগাঁও মাইঝহাটি এলাকার ছালাম উদ্দিনের পুত্র ডালিম মিয়া ও একই গ্রামের হারুন মিয়া দু’জনেই চোরাই কয়লা ব্যাবসয়ী হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টায় চোরাই কয়লা আসার পর দুজনেই কয়লার মালিকানা দাবি করে। এতে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’পক্ষের আত্মীয় স্বজন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ডালিম মিয়া (৩২) ও তার চাচা হারিছ মিয়া (৪২) সহ ১০ জন আহত হয়। আহত হারিছ মিয়া বর্তমানে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রহিম উদ্দিন, আমিন মিয়াসহ স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, প্রতি রাতে তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের লালঘাট ও কলাগাও জঙ্গলবাড়ি, মাইজহাটি এলাকা দিয়ে সীমান্তের চিহ্নিত চোরাকারবারিরা ভারত থেকে বাংলাদেশে কয়লা এনে তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নদী দিয়ে সোলাইমান পুর বাজারের সামনে দিয়ে জেলার মধ্যনগর উপজেলা দিয়ে নেত্রকোনা জেলা কমলাকান্তায় নৌকা দিয়ে পাচার করে। এছাড়াও সরকারী ভাবে জব্দ কৃত কয়লাও রাতের আধারে পাচার হচ্ছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান।
চাড়াগাঁও মাইজহাটি গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান জানান, চাড়াগাঁও সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন রাতেই ভারত থেকে অবৈধভাবে চোরাই কয়লা আসে। এসব চোরাই কয়লা নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বশীল লোকজন তা দেখেও না দেখার ভান করে।
এ বিষয়ে বিজিবি চাড়াগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক জানান, কয়লা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি, তবে পূর্ব বিরোধিতা থেকে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা হয়েছে।