৩ বছরে চিকিৎসা নিতে আসা ৪৩ শতাংশের ক্যান্সার শনাক্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ৯:২৯:০৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহির্বিভাগে তিন বছরে (২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০) প্রায় ৮৪ হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৪৩ শতাংশ রোগীর প্রাথমিকভাবে ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে।
বুধবার জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১৮-২০২০ সালের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিন বছরে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটে ও হাসপাতালের বহির্বিভাগে মোট ৮৩ হাজার ৭৯৫ জন রোগী সেবার জন্য এসেছেন, যাদের মধ্যে ৩৫ হাজার ৭৩৩ (৪২.৬%) জনের চূড়ান্ত কিংবা প্রাথমিকভাবে ক্যান্সার হিসেবে রোগ নির্ণয় হয়েছে। তাদেরকে রেজিস্ট্রিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নিবন্ধিত রোগীদের মধ্যে ১৯ হাজার ৫৪৬ জন (৫৫%) পুরুষ ও ১৬ হাজার ১৮৭ জন (৪৫%) নারী। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে শীর্ষ দশ ক্যান্সারের মধ্যে আছে যথাক্রমে ফুসফুস (১৭.৪%), স্তন (১৩.৪%), জরায়ুমুখ (১০.৯%), খাদ্যনালী (৪.৯%), পাকস্থলী (৪.৩%), লিভার (৩.৯%), লসিকা গ্রন্থি (৩.৮%), মলাশয় (৩.১%), গাল (৩%) ও পিত্তথলির (১.৫%) ক্যান্সার। পুরুষদের মধ্যে শীর্ষ ক্যান্সার ফুসফুস (২৬.৬%) এবং নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার (২৯.৩%)।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে গত তিন বছরের করোনার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ক্যান্সারে। প্রতি বছর দেড় লাখ মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। ১৫ থেকে ১৮ লাখ ক্যান্সার রোগী আক্রান্ত রয়েছেন দেশে। তিনি বলেন, দেশে এখনও ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হয়নি।
সরকার আট বিভাগে ক্যান্সার সেন্টার করার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারলে এ রোগ থেকে শতভাগ সুস্থ হয়ে ওঠার চিকিৎসা আছে। আটটি বিভাগীয় ক্যান্সার সেন্টারে সে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পর্যায়ক্রমে প্রতি জেলায় মেমোগ্রাফি মেশিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।